আবারও মাদকের জোয়ারে ভাসছে আটঘরিয়া। দেখার কেউ নাই। প্রশাসন নির্বিকার। মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক তৎপর। প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। উপজেলা সদর দেবোত্তর, দেবোত্তর ঝোড়পাড়া, আটঘরিয়া, গোড়রী মতিঝিল, গনিরবটতলা, শ্রীকান্তপুর বটতলা, রামনগর আদিবাসি পল্লীতে, পুস্তিগাছা বাজার, কয়রাবাড়ী বাজারের পিছনে, ডেঙ্গারগ্রাম বাজারের আম বাগানে, একদন্ত স্কুল সংলগ্ন, সড়াবাড়িয়া স্কুল মাঠ, হুজুরের ঢাল বাজার, খিদিরপুর ডাঙ্গপাড়া, পারখিদিরপুর, রামচন্দ্রপুর পাইমারীও হাই স্কুলের সামনে, রামেশ্বরপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে চলছে আনাচে কোনাচে প্রকাশ্যে ও গোপনে কিছু ক্ষমতাশীল দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল ও চোয়ানি মদ।
উঠতি বয়সের তরুন যুবক ও স্কুলগামী ছাত্ররা মাদকের সর্বনাশা ছোবলে পড়ে বিপদগামী হচ্ছে ফলে অভিভাবককেরা দিশেহারা হয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। সর্বনাশা এই মাদকের কড়াল গ্রাসে ধবংস হচ্ছে তরুন যুবক ও বৃদ্ধরা। বিষয়টি প্ররুরী পদক্ষেপ নেয়ার দরকার বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
ভূক্তভোগি ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, মাঝে মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সড়াশি অভিযান চলাকালে কিছু দিন মাদক ব্যবসা কিছুটা কমেছি। কিন্তুু হঠাৎ করে পুলিশ নিরব থাকায় মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও বিক্রি পূর্বের সব রেকড় ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার কিছু চিহিৃত স্থানে কিছু গাঁজা ইয়াবা ফেন্সিডিল মাদক সহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য ছদ্মনাম ধরে ডাকা হলে নিদিষ্ট সেই লোক মাদক দ্রব্য নিয়ে হাজির হন। দেশি মদের পাশাপাশি বিদেশী বিভিন্ন মদরে ব্যবসার সঙ্গে উচুতলার মুখ চেনা কিছু লোকজন জড়িত থেকে সবার চোখে ধুলো দিয়ে এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অধিকাংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া থেকে ব্যবসা করছেন। মাঝে মধ্যে এদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করতে চাইলে তদারকি পার্টি অপব্যবহারে কারণে তারা থেকে যাচ্ছে ধোরা ছোয়ার বাইরে। তারা আরও বলেন, পুলিশ যদি পূর্বের মতো সাড়াশি অভিযান চালালে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
#চলনবিলের আলো / আপন