বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকবলের সংকট অপারেশন ও এক্সে না হওয়ায় ভোগান্তিতে উপজেলাবাসি

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী শোয়াবার টেবিল, লাইটসহ অপারেশনের সরঞ্জামাদী ও এ্যানেসথিয়া ডাক্তার না থাকায় তালাবদ্ধ হয়ে আছে অপারেশন থিয়েটার নামের নামে মাত্র একটি রুম। এখানে অপারেশন ও এক্সে হওয়াটাও দেখিনি অনেকেই বলে জানান স্থানীয়রা। ১৫ টি চিকিৎসকের পদের এখানে ৪ জন কনসালটেন্টসহ ৬ জন চিকিৎসকের পদশুন্য। চতুর্থ শ্রেনীর ২০ জন কর্মচারীর পদের মাঝে ১৫ জনই নেই। আর এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তত্বাবধায়নে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী পদের ২৪ জনের মাঝে ১৫ জনই নেই, পুরো উপজেলাতে ৯ জন স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে চলছে কাজ। ৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা ঘিরে এ উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভোগান্তি, শেষ হবে কবে, এ প্রশ্ন সকলের।

স্থানীয় ভাবে স্বাস্থ্যসেবা অনেকটাই তাদের যেনো নাগালের বাইরে। বড় করে ৫০ শয্যার হাসপাতাল লেখা থাকলেও সেখানে নেই কোনো সুবিধা মানুষের। ৫০ শয্যার হাসপাতাল লেখা থাকলেও কাগজপত্রে এটি ৩১ শয্যার। তবে ৩১ শয্যার লোকবলও বলতে গেলে নেই এখানে। লোকবল সংকটে এখানকার স্বাস্থ্য অবস্থা কাহিল।

কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০৩ সাল থেকে ১৮ বছর অকেজো হয়ে আছে এক্সরে মেশিন। তবে এবছরের মে মাসে এক্সে মেশিন বরাদ্দ হয়েছে। তবে তা চালু করা হয়নি এখনো। অপারেশন থিয়েটার লেখা রুমের সামনে কলাসশিপল গেট দিয়ে তালাবন্ধ করা। সামনে ধুলোর আঁচর। তবে রুগীর প্রচন্ড চাপ রয়েছে গ্রামীণ জনপদের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ।

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন বুঝে পান কমপ্লেক্স কর্তৃপ¶। সেখানেই অবস্থান রুমটির, লেখা রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। বাট একটা ফাঁকা রুম। নেই টেবিল নেই লাইট নেই কোনো সরঞ্জামাদী। এসব সংকট কাটিয়ে উঠে হাসপাতালটি পরিপুর্ণভাবে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবায় ভূমিকা রাখুক। যাতে কারো দুরে গিয়ে অর্থ ও সময় নষ্ট করে ধকল সহ্য করে সেবা নিতে যেতে না হয়। তারা চান, তাদের সেবা এখানেই হোক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান লোকবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, তারা চেষ্টা করছেন সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে। উর্ধ্বতন কর্তৃপ¶কে জানিয়েছেন আবেদনের মাধ্যমে। তারাও চান এসব চালু হোক। তাদের আন্তরিকতার কোনো ধরনের ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।

আর সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী জানালেন, সেখানে অপারেশন চালু করবার বিষয়ে চেষ্টা করবেন। এক্সরে মেশিন কিছুদিন আগে দেওয়া হয়েছে ও একজন রেডিও গ্রাফারও জয়েন করেছেন। অচিরেই এক্সরে বিভাগ চালু হবে। আর লোকবল মন্ত্রনালয় যদি নিয়োগ দেয়, তবে সে সংকটও কেটে যাবে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৫ শ থেকে ৬ শ রোগী বহি: বিভাগে সেবা গ্রহন করছেন এবং এখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩১ জন রোগী ভর্তি থাকেন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সকল সমস্যা কাটিয়ে এখানকার মানুষের স্থানীয়ভাবে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ুক, এটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।