শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভূঞাপুরে কৃষকের স্বপ্নে বন্যার থাবা!

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গোপাল রায় ও অখিল রায় দুই ভাই ভূঞাপুর উপজেলা কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। শখ করে লাভের আশায় ২বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছিলেন সবজি বাগান। কিন্তু যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে গেছে তাদের সবজি বাগান। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শুধু তারাই নয় এমন শত শত কৃষক এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।এ বছর বন্যায় টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুরে কৃষকদের স্বপ্নের ফসল এখন পানির নিচে। তাদের রোপকৃত বিভিন্ন শাকসবজির গাছ পচে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে আবাদকৃত ফসলি জমি এখন পানির নিচে। উপজেলার বন্যাকবলিত ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্ধি। পানিবন্ধি এ মানুষগুলো এখন নানা দুর্ভোগের শিকার। বিশেষ করে গাবসারা ও অর্জুনা এই দুটি ইউনিয়নের মানুষ এখন পানিবন্ধি। এছাড়া গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইনিয়নের নতুন নতুন এলাকা থৈ থৈ করছে বন্যার পানি।

উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের কৃষক দুই ভাই গোপাল রায় ও অখিল রায় বলেন, আমরা ৩ বিঘা জমিতে অনেক আশা নিয়ে বারি পটল আবাদ করেছিলাম। প্রায় ১০ দিন হলো বন্যার পানি প্রবেশ করায় আমার পটলবাগান এখন বুক পানির নিচে। ৩ বিঘা জমিতে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পটল বিক্রি করেছি। বন্যার পানি না ঢুকলে আরো দুই মাস ফলন আসতো। এতে আরো দুই লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারতাম। শুরুতে প্রতিমণ দুই হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন দাম আরো বেড়ে গেছে। অখিল রায় ৩ বছর যাবৎ পটল আবাদ করছেন। এতে লাভও বেশ ভালো। স্বপ্নের ফসল পানিতে ডুবলেও সরকার থেকে এখন পর্যন্ত কোন ¶তিপূরণ পায়নি। আমরা অগ্রহায়ন মাসে কাটিং রোপন করেছিলাম। প্রায় এক বছর ফলন দেয়। প্রতি পিচ কাটিং/চারা ৬ টাকা করে ক্রয় করে আনি। নাটোর থেকে এ কাটিং সংগ্রহ করি। এ মৌসুমে দুইশ চারা লাগিয়ে ছিলাম, ফলনও ভালো হয়েছিল। সবজি হিসেবে পটল খেতে খুব সুস্বাদু। পাকা পটল বেশ মিষ্টি লাগে। পটলের পাশাপাশি আমরা সারা বছরই অন্যান্য শাকসবজি আবাদ করি। গোপল বলেন, গেল মাসে আমি ৭’শ কেজি পটল বিক্রি করেছি। কিন্তু বন্যায় পানি প্রবেশ করায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলাম।

একই গ্রামের পটল চাষি সুলতান, মুসলিম, সোহরাব, রফিকুল, তারা প্রায় ১০ থেকে ১২ বিঘা জমিতে পটল আবাদ করেছিলেন। সাথে আবাদ করেছিলেন ধুন্দল। সব ফসলই এখন পানির নিচে। শুধু পটল ও ধুন্দলই নয়। বন্যায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনও তলিয়ে গেছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যমুনায় পানি বৃদ্ধি হ্রাস পাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মামুন রাসেল জানান, চলতি বন্যায় উপজেলায় প্রায় ১’শ হেক্টর জমির রোপা আমানসহ বিভিন্ন শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমে আমাদের কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা দেয়া হবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।