পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত-গোড়রী সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা যেন মরণ ফাঁদ। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসির।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী যানবহনে চলাচল করেন ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। দেখার কেউ নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর নেই এই রাস্তার উপর। জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই রাস্তা সংস্কারের কোন আগ্রহ।
কথা হয় ভ্যান চালক জসিম উদ্দিন, নজরুল ইসলামসহ অনেকের সাথে তারা জানান, প্রতিদিন মৃত্যুর ঝুঁকিতে যাত্রী নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গর্তে পরিনত হয়েছে। পানি জমে থাকলে চলাচল করা একেবারেই অনুপযোগি হয়ে পড়ে। আমরা যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গা চুড়া এই রাস্তা দিয়ে চলতে পারি না। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান যদি এই রাস্তা উপর নজর দিত তাহলে এই রাস্তা দিয়ে আমাদের মতো যারা চলাচল করে তাদের আর ভোগান্তি পোহাতে হতোনা। দয়া করে আমাগো চেয়ারম্যান তানভীর ভাই এলাকাবাসির দূর্ভোগের দিকে নজর দিলে হয়তো নতুন রাস্তা হয়ে যাবে বলে মনে করেন এই ভ্যান চালকেরা।
স্থানীয় মেম্বার আফতাব হোসেন জানান, দীর্ঘ দিন যাবত এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। প্রশাসন রাস্তার কোনো খোজ খবর রাখে না। কষ্ট করে আমাদের এলাকার মানুষ চলাচল করে আসছে। বৃষ্টি হলে যেন মনে হয় ছোট ছোট মাছের খামারে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই রাস্তার উপর সকল প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল সরদার জানান, একদন্ত-গোড়রী সড়ক আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার চার পাঁচ বছর যাবত বেহাল দশায় পরিনত হয়ে পড়ে আছে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মোটেও সম্ভব নয়। চৌবাড়িয়া চারমাথা মোড় হতে একদন্ত বাজার সড়ক খানাখন্দ ভরে গেছে। মরহুম আঃ সাত্তার এর পুকুর পাড়, মধু হাজীর ত্রিমোহন চৌবাড়িয়া জোরগাছ ব্রী থেকে হিদাসকোল গাংপাড়া ব্রীড় পর্যন্ত, হিদাসকোল বারকু শেখের বাড়ীর সাথে ব্রীজ থেকে চন্ডিপাশা পানি মসজিদ পর্যন্ত, চৌকিবাড়ী দাখিল মাদরাসা সংলঘ্ন, নরজান মালেকের বাড়ী মোড় গভীর নলকুপ থেকে বাচ্চু মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপে এই রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কার করা সম্ভব বলে মনে করেন এই বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা।
#চলনবিলের আলো / আপন