বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা ঠেকাতে সব দেশ যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুলভ মূল্যে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারে, সেজন্য প্রযুক্তি ও স্বত্ব হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “আসুন, আমরা অর্থবহভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করি এবং প্রযুক্তি বিনিময় ও স্বত্ব বিনিময়ের মাধ্যমে সুলভে সকলের কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকস এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে একসাথে কাজের ধারা অব্যাহত রাখি।”

মঙ্গলবার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স (এএমআর) বিষয়ে ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ’ (জিএলজি) এর দ্বিতীয় বৈঠকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান আনে।
জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা ঠেকাতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতেও বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ এবং জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ এ বিষয়ে এতটি কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করায় গ্রুপের কো চেয়ার হিসেবে তিনি খুশি।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাতকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং তা বস্তবায়নে উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টিকে গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ যে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, সেজন্যও তিনি সন্তুষ্ট।

“জিএলজির জন্য একটি সমন্বিত যোগাযোগ কৌশল অনুমোদন করতে পেরে তিনি আনন্দিত। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএলজি কর্মকাণ্ডের পরিচিতি তুলে ধরতে আমরা আমাদের ভূমিকা পালন করে যাব।”
এএমআরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরাসরি টেকসই অর্থায়ন বাড়াতে জিএলজি কী করতে পারে- সে বিষয়ে অন্যদের মতামত জানতে চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এএমআর এর বোঝা লাঘবে এই খাতের সকল পর্যায়ে অর্থায়ন অতি জরুরি।

“তাছাড়া জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গবেষণা, উন্নয়ন এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমাদেরকে পর্যাপ্ত তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।”এই লক্ষ্য অর্জনে সরকারগুলোর যে রাজনৈতিক পদক্ষেপে প্রাধান্য দিতে হবে, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “সেজন্য এএমআর-কে এসডিজিএস বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া উচিত।”

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা সভায় বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে ছয় বছরের (২০১৭-২০২২) জাতীয় কৌশলপত্র এবং এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়েছে। মানব ও পশুর জন্য ব্যবহৃত কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে কি না, তা জানতে নিয়মিত ল্যাবরেটরি ভিত্তিক নজরদারি চলছে এবং ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ ডব্লিউএইচওর গ্লাস প্ল্যাটফর্মে এএমআর ডেটা সরবরাহ করছে।

ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের এই সভায় সভাপতিত্ব গ্রুপের কো-চেয়ার বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।