সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গুরুদাসপুরে নদী দখল করে ব্যাংক কর্মকর্তার পাকা বাড়ি নির্মান

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর কলা হাটের কাছে নন্দকুজা নদীর প্রায় পাঁচ শতাংশ পাড় দখলে নিয়ে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ও ব্যবসায়ী জহির। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও নির্মান কাজ বন্ধ হয়নি। এমনকি দখলকৃত সরকারের নদী সিকস্তী জমিটি উচ্ছেদের জন্য কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছেনা।

জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংক নাজিরপুর শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি করেন বেলাল হোসেন। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়নের দুধগাড়ি গ্রামের সাবদুলের ছেলে এবং ব্যবসায়ী জহির রায়হান বাজার এলাকার বাসিন্দা। নদীরক্ষা আইনে উল্লেখ রয়েছে নদীর সীমানার ৩০ ফিট জায়গা নদীর অন্তর্ভুক্ত। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নদীর জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না ওই প্রভাবশালীরা। অবৈধভাবে ওই পাকা ঘর নির্মানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালেও থেমে নেই নির্মান কাজ।

নাজিরপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গোপাল কুমার সিংহ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মাপজোক মানছেন না ওই প্রভাবশালীরা। উপরন্তু সরকারী নির্দেশ অমান্য করে আরসিসি দিয়ে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, নন্দকুজা নদীর পাড় ঘেঁষে স্থানীয় মমতাজ বেগম ও তার পাঁচ বোনের কাছ থেকে ৮.২৫ শতাংশের একটি জমি স্ত্রীর নামে কিনে নেন জহির। নাজিরপুর মৌজার হাল ১৭৬ নম্বর দাগের ওই জমিটি কেনা হলেও দক্ষিণের ৫ শতাংশ নদীপাড়। তা দখলে নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল ও জহির ব্যবসায়িক অংশীদার। নিজে ব্যাংক কর্মকর্তা হওয়ায় কৌশলে জমিটি ব্যবসায়িক অংশীদার জহিরের স্ত্রী রুমা বেগমের নামে কিনেছেন বেলাল। ওই জমিটি নদীসংলগ্ন হওয়ায় উত্তর দিকে পতিত রেখে দক্ষিণ দিকে নদীর পাড় দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন তারা।

অভিযুক্ত জহির বলেন, নদীর তীর ঘেঁষে তার স্ত্রীর নামে ৮.২৫ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে। তবে জমিটি স্ত্রীর নামে কেনা হলেও নদীর পাড় সংলগ্ন জমিতে ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন বেলাল। ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিয়ম মেনেই ঘর নির্মাণ করছেন বলে জানান তিনি।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল ও ব্যবসায়ী জহির নদীর পাড় দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মাণে বাধা নিষেধ করলেও বেলাল ও জহির তা মানেনি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, বাড়িটি উচ্ছেদের জন্য ডিসি অফিসে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ডিসি অফিস নির্দেশ দিলে উচ্ছেদ করে দেব।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।