বরিশালের বানারীপাড়ায় মেয়েকে অচেতন করে বিভিন্ন ব্যাক্তিদের দিয়ে অশ্লীল ও খারাপ কাজ করানো এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে দেওয়া,শারীরিক নির্যাতন ও শিক্ষাজীবন নস্ট করার চেস্টার অভিযোগে মা-বাবা,ভাই -বোনের নামে বানারীপাড়া থানায় গত ১০ আগস্ট অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রামের পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল আঃ হাই এর মেয়ে তাছনিম।
তাছনিম বর্তমানে চাখার ধরিকর মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। পরিবারের নির্যাতনের হাত থেকে বাচার জন্য তাছনিম সম্প্রতি চাখারে এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলো তার মা হাসিনা বেগম(৪৬), পিতা পুলিশ কনস্টেবল আঃ হাই, বড় বোন মরিয়ম(২৪), ভাই হাসান (২৬) ও তানবির (১৯)। তাছনিম অভিযোগ করেছেন তাকে ১৩ বছর বয়সে জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে দেয়। তার পর স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরবর্তীতে তার পরিবার আবারও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে দেয়। রাজি না হলে ঘর থেকে বের করে দেওয়া সহ বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন চলে। তাকে তার মা ও দুঃসম্পর্কের মামা ঘুমের ঔষধ সেবন করিয়ে অচেতন করে। তারপর অজ্ঞাতনামা লোক দিয়ে অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়াইয়া দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে মারধর করে। সেখানেও তাসনিম একই ভাবে নিজেকে মুক্ত করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে।
এই বিষয় তার মায়ের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি তবে তার দুঃসম্পর্কের মামা সত্তার হাওলাদার বলেন এ ব্যাপারে তিনি জড়িত নন এবং এ বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে জানান
অপ্রতিরোধ্য তাছনিম তার নিজের ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন সহ্য করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছ।তাছনিম জানায় এই মুহুর্তে সে কাউকে বিয়ে করতে রাজি নয়। এখন বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহন করে দেশ সেবায় অংশ গ্রহন করা।
অভিযোগের বিষয় বানারীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন