সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের চাচা আব্দুল হক ও ভাতিজা মেজবার মধ্যে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।এরই এক পর্যায়ে গত ১৭ আগষ্ট ভোর ৬ টায় চাচা লুৎফর রহমান (হক) ও তাঁর সহযোগীরা পাশ্ববর্তী বিষ্টপুর গ্রামে ফুলজোড় নদীর তীরে ভাতিজা মেজবাহকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গ্রামবাসী মৃতপ্রায় মেজবাহ কে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে, পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়। ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেজবাহ এর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে মেজবাহের বড় ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ২৮, তারিখঃ ১৮-০৮-২০২১।
আসামীরা হলো- লুৎফর রহমান (হক), তার পুত্র- আল মাহমুদ, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল্লাহ, স্ত্রী আলেয়া খাতুন,কন্যা তাসলিমা ও নাজমা।
মেজবাহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আজ বৃহ:বার (১৯আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিষ্টপুর গ্রামে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
পরে বিকেল ৪ টায় দাঁদপুর জিয়ার কলেজের সামনে (ঢাকা-বগুড়া) মহাসড়কে বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। প্রতিবাদকারীরা মেসবাহ হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জজানান।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন, নলকা ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি কাওসার আহম্মেদ সহ ইউনিয়ন আঃলীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীবৃন্দ।
এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সলঙ্গা থানার ওসি(তদন্ত) জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মামলায় রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
#চলনবিলের আলো / আপন