সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় বর্ষা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল চলছে। নদনদী, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা ও জলাশয়গুলোতে এখন দেশি প্রজাতির মাছ খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় দেশি প্রজাতির মাছের স্থান দখল করেছে বিদেশি জাতের বিভিন্ন মাছ।
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের আরতদার বেল্লাল ও হামকুরিয়ার চরের আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগে প্রতি বছর বর্ষা আসলেই পানিতে প্রচুর মাছ আসত। অধিকাংশ মানুষই ঐ মাছ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহী করত। তখন জাল পেতে নদী থেকে পোনা ধরত না, যে কারণে বর্ষার পানিতে পোনা ভেসে যেত বিভিন্ন নদী-খাল-বিল ও জলাশয়ে। আর আর্শ্বিন-কার্তিক মাসে প্রচুর মাছ ধরা পড়ত। তারা বলেন, কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ও বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার এবং কারখানার বর্জ্যে নদী, নালা, খাল, বিল ও জলাশয়ের পানিতে মিশে বিষাক্ত হচ্ছে। এতে দেশি মাছ মরে যাচ্ছে। এছাড়া এক শ্রেণির মৎস্যজীবী অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করে দেশি মৎস্য প্রজননে বাধা সৃষ্টি করছে। সিরাজগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় দেশি জাতের মাছের উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মা-মাছ রক্ষার জন্য মৎস্য বিভাগ থেকে পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন