সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

উজিরপুর টেলিফোন ভবন মাদক বিক্রেতাদের নিরাপদ আস্তানা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১

ভবনটির চারিপাশের ঝোঁপঝাড় আর জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে মনে হয় এটি কোনো পরিত্যক্ত ভবন। সাধারণ মানুষ দিনের বেলায় সেখানে ঢুকতে ভয় পেলেও সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদক বিক্রেতারা নিরাপদ আস্তানায় পরিণত করেছে। ইতোমধ্যে সরকারি ওই ভবনের কম্পাউন্ডসহ আশপাশের স্থানকে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মাদক মামলার ঘটনাস্থল হিসেবে দেখিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি জেলার উজিরপুর মডেল থানা কম্পাউন্ড থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বের পৌর সদরের টেম্পুস্ট্যান্ড সংলগ্ন সরকারি টেলিযোগাযোগ ভবনের। সরকারি এ অফিসের কর্মরতরা দীর্ঘ কয়েক বছরেও কর্মস্থলে না আসায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর সদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উপজেলা টেলিযোগাযোগের ওই অফিসটিতে দীর্ঘ কয়েক বছরেও কোন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীকে বসতে দেখা যায়নি। দিনের পর দিন অফিসটি বন্ধ থাকার কারণে পুরো ভবনের কম্পাউন্ড এলাকাটি এখন মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ আস্তানায় পরিণত করেছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টেলিযোগযোগ অফিস থেকে এ পর্যন্ত অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া উজিরপুর মডেল থানার অর্ধশতাধিকেরও বেশি মাদক মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে টেলিযোগযোগ অফিস। বর্তমানে ওই ভবনে অভিযান চালানো হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অফিসের গাইড ওয়ালের নিচের ফাঁকা জায়গা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা পালিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে টেলিযোগাযোগ ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্থানীয় (বরিশাল-২ আসন) সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এরপর কিছুদিন অফিসটি নিয়মিত চললেও পরবর্তীতে অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন এখানকার কর্মরতরা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উপজেলা টেলিযোগাযোগ ভবনে ওয়ার্ড চার্জ হিসেবে বকুল বেগম, লাইনম্যান বাবর আলী ও মাহাবুব রহমান কর্মরত রয়েছেন। তারা শুধুমাত্র কাগজে-কলমে উপস্থিত দেখিয়ে প্রতি মাসে সরকারি বেতনসহ সকল সুবিধাভোগ করে যাচ্ছেন। তবে তাদের দাবি, জনবল সংকট থাকায় ঠিকমতো অফিসে যাচ্ছেন না।

উপজেলার টেলিযোগাযোগ অফিসের ওয়ার্ড চার্জ বকুল বেগম বলেন, ভবনের চারপাশে ঝোঁপঝাড়, দিনেও অন্ধকার থাকে। যার কারণে দিনে অফিস করতে আমার ভয় হয়। তাই নিয়মিত অফিস করা হয়না। তিনি আরও বলেন, অফিসের লাইনম্যানের দায়িত্বে থাকা বাবর আলীকে তো অফিসে পাওয়াই যায়না। যোগদানের পর থেকে তিনি একদিনও অফিসে আসেনি। অপর লাইনম্যান মাহাবুব রহমান লাইনের সংযোগে কোন সমস্যা না থাকলে তেমন আসেন না।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, টেলিযোগযোগ অফিসটি রাস্তার পাশে হওয়া সত্তে¡ও ঝোঁপঝাড় আর জরাজীর্ণ অবস্থায় কারণে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মজিবুর রহমান জানান, আমি কখনও টেলিযোগযোগ অফিসে কোনো কর্মকর্তাকে অফিস করতে দেখিনি। অফিসে কেউ না থাকায় ওই জায়গা মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।
বরিশাল জেলা বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। অফিস চালাতে হলে সর্বপ্রথম সিকিউরি গার্ড একান্ত প্রয়োজন। বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা সত্বেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যার কারণে অনেকেই নিয়মিত অফিস করছেন না।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।