আইপি টিভিগুলোর মালিকদের অনেকে নিজেদের ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলে পরিচয় দেন। অথচ দলে তাদের কোনো পদ-পদবি থাকার তথ্য পাওয়া যায় না। আইপি টিভির নামে ইউটিউবে চ্যানেল চালান। নিজেকে পরিচয় দেন পুরোদস্তুর টেলিভিশনের মালিক হিসেবে।
এ দেশে নামে-বেনামে কত আইপি টিভি চলছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই কারও কাছেই। একটি আইপি টিভিরও সরকারিঅনুমোদন নেই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (টিভি-২) রুজিনা সুলতানা আইপি টিভি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একটি আইপি টিভিরও অনুমোদন তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি। অনেকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার আলোকেই তাদের নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যেসব আইপি টিভির কথা জানা যাচ্ছে তার বড় অংশই চালাচ্ছে বিতর্কিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। মুলধারার গণমাধ্যমে ঠাঁই না পেয়ে তারা নামে-বেনামে স্থান করে নিয়েছে আইপি টিভিতে। তারা আইপি টিভি ব্যবহার করে কী ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে সে ব্যাপারেও নজরদারি নেই। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে আইপি টিভির কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দেশের মূলধারার টিভিগুলো।
এভাবেই অনুমোদনহীন আইপি টিভি সারা দেশে ছেয়ে গেছে। মূলধারার সাংবাদিকতা এসব আইপি টিভির কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে অনেক ক্ষেত্রে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নেতা ও ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘দেশে অনলাইনের নামে, আইপি টিভির নামে যা হচ্ছে, বিশেষ করে জয়যাত্রা ধরা পড়ার পর, সেটা সাংবাদিকতার মানদণ্ডে ভালো কিছু হচ্ছে না।

শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
দেশে নামে-বেনামে আইপি টিভির কোণঠাসায় মূলধারার টিভিগুলো
প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১