পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা বাঐখোলো মোড় হতে-সঞ্জয়পুর কামারপাড়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা। চলাচলের একবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি রাস্তাটি মেরামতের দাবিতে ধানের চারা রোপন করে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে এলাকাবাসির উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা মোড় হতে সঞ্জয়পুর কামারপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি অল্প বৃষ্টি হলেই কাঁদায় পরিণত হয়। এই রাস্তা দিয়ে দিলালপুর, কমারেশ্বরপুর সঞ্জয়পুরসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন চলাফেরা করে। এই রাস্তা কাঁদায় পরিণত হওয়ায় অত্র এলাকার মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারে না, এমনকি এলাকার চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম হিমশিম খাচ্ছে। তবে এলাকার মুসল্লি ও এলাকাবাসি রাস্তার দাবিতে কয়েকদফা বিক্ষোভ করেছে। প্রতিবাদে রাস্তার ওপর ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক মহিদুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষককেরা সঠিক সময়ে ঘরে উঠতি ফসল তুলতে পারছে না। প্রতিদিন শতশত মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে ভোগান্তিতে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই আমরা আর কাউ’র প্রতিশ্রুতি চাই না। দ্রুত এই রাস্তা বাস্তবায়ন চাই। আমাদের চোখের সামনে যে এই রাস্তা মেরামত করে দিবে তাকে এবার আমরা ভোট দিয়ে নিবার্চিত করব। যাতে এই এলাকার সাধারন মানুষ দূর্ভোগ থেকে রেহাই পায়।
এলাকাবাসি আলহাজ আশরাফ আলী মাস্টার, জোব্বার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রব ও বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক সহ অনেকেই জানান, ইউপি নির্বাচন সামনে আসলেই চেয়ারম্যান মেম্বাররা নানা প্রতিশ্রতি দিয়ে ভোট ভিক্ষা চান। আবার রাস্তা পাকাকরণেরও প্রতিশ্রæতি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয় না। রাস্তাটি দেখে মানে হয় একটি ধানের খেত। কত চেয়ারম্যান মেম্বার গেলো আর আইলো রাস্তা রাস্তাই থেকে গেল। আমাদের দূর্ভোগ থেকেই গেলো। এতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষের বছরের পর বছর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কাঁদা পানি মাড়িয়ে যাতাযাত করতে হয় এলাকার মানুষের।
সঞ্জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শাহনাজ বেগম জানান, বর্ষা ও কাঁদা মাটিতে এলাকার রাস্তাটি ধানের জমিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। চলতি মৌসুমের শুরুতেই টানা ভারি বর্ষনে রাস্তাটি আরও বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। তবে জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের আশু-হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই প্রধান শিক্ষক।
#চলনবিলের আলো / আপন