সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের একমাত্র কাচাঁ রাস্তাটি দির্ঘ্যদিন মেরামতের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। যে রাস্তা ব্যবহার করে দক্ষিনাঞ্চলে বসবাসকারীরা উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমসহ প্রায় সারা বছরই এ কাচাঁ সড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের বাসিন্দাদের। যানবাহন চলাচলে ব্যঘাত ঘটায় এ অঞ্চলের কৃষি পণ্য সহ সকল প্রকার পণ্য পরিবহনে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। বছরের বছর ধরে এলাকাবাসী রাস্তাটির পাকাঁকরণের দাবী করলেও চৌহালী এলজিইডি মৌখিক আশ্বাস দিলেও এখনো কার্যকারী কোনো পদক্ষেপ দেখছে না এলাকাবাসি।
অন্যদিকে জরুরী প্রয়োজনে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে মোটরসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ী ও কাধে খাটিয়া নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না, তবে বর্ষা মৌসুমে কিছুদিন নৌকায় যাতায়াত করা যায় কিছু আরামে। বৈন্যা মোড় থেকে রেহাইপুকুরিয়া বাজার-বাঘুটিয়া ইউপি কার্যালয় হয়ে বিনানই মরা নদী পর্যন্ত এবং বিনানই হাসপাতাল মোড় থেকে সলিমাবাদ ব্রিজ পর্যন্ত একটি রাস্তাই বদলে দিতে পারে এলাকাবাসির চলাচলের চিত্র ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড।
বিনানই গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, আমাদের দক্ষিনাঞ্চলে কোনো পাকাঁ সড়ক নেই। গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় ৩/৪ টি কাচা রাস্তা রয়েছে তাও সংস্কারের অভাবে জরাজির্ণ চলাচলের অযোগ্য। বাঘুটিয়া, খাষপুকুরিয়া ও উমারপুর ইউনিয়নবাসির চরম কষ্টের মাঝে ইউপি কার্যালয়, হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলায় তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হয়। বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি আর কাদায় সড়ক ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে থাকে। নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক নেতারা নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেয় এবং পরে সব ভুলে যায় বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। রাস্তাটির ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন- রাস্তাটি পাবনা-বগুরা প্রকল্পের ২য় ফেজ এর অনুমোদনে আছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং টেন্ডার হলে কাজ শুরু করা যাবে।
#চলনবিলের আলো / আপন