নাটােরের গুরুদাসপুর উপজলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে আল্পনা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধুকে আত্মহত্যায় প্ররােচনার অভিযােগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম বোনের স্বামীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় ওই লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন।
নিহতের বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম অভিযোগে জানান, ১০ বছর পূর্বে শিকারপুর গ্রামের মাে. কুবির উদ্দিনের ছেলে রাজ্জাকের সাথে ইসলামী শরিয়ত মােতাবেক তার ছােট বােন আল্পনার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানও জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই তার বােনর স্বামী রাজ্জাক ও তার বােন আনােয়ারা বেগম এবং ভগ্নিপতি আবু হানিফ আল্পনাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। চার বছর পূর্বে আল্পনার কাছ থেকে রাজ্জাকের বােনজামাই জমি লিজের জন্য ১ লাখ টাকা নেন। সেই টাকা ফেরৎ চাইলে তারা টাকা দিতে অস্বিকার করে এবং তাকে গালমন্দ করে চরথাপ্পর দেয়। মারধরের বিষয়ে আল্পনা তার স্বামীকে জানালেও তার ওপর রেগে যায়। এমনকি তারা সবাই মিলে আল্পনাকে বিষপান করে মরে যেতে বলে। তাদের মারধর ও প্ররােচনায় আল্পনা ২৩ জুলাই নিজ ঘরের ডাবের সাথে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস নেয়। তার বােনকে আত্মহত্যার প্ররােচনায় উৎসাহিত করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জােড় দাবি জানান তিনি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ময়নাতদন্তের রিপাের্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। তখন সেই মােতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন