শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আগৈলঝাড়ায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহনের ধীর্ঘ লাইন ; নিবন্ধনের ১৫দিনেও টিকা গ্রহনের তারিখ জানতে পারছেন না আবেদনকারীরা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১

“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, বাঁচিবার চাই সবার তরে”- কবির এই কথার সাথে সুর মিলিয়ে সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে কেউ বিদায় নিতে চায় না। তাই বাচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি কোভিড-১৯টিকা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বৈশি^ক মাহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন মরিয়া হয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পরেছে উপজেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক, নার্স ও ষ্ঠাফরা নিহেদের জীবন বাজী রেখে কোভিড মোকাবেলাসহ দৈনন্দিন কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়তই।

দেশে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য প্রথম পর্যায় থেকে সরকার ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানোর পরেও ওই সময়ে যারা ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কুসংস্কারে নিমজ্জিত হয়ে শেষ পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহন করেন নি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতাল প্রধান (ইউ.এইচ.এ.এফ.পিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, প্রথম পর্যায়ে সন্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে চাহিদা অনুযায়ি উপজেলা হাসপাতালে সরকারীভাবে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হলেও লোকজনের কু-সংসকার ও ভ্রান্ত ধারণায় অনীহার কারণে টিকা না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা ফেরত গেছে। সরকার কোন কোন ডিপার্টমেন্টে করোনার টিকা গ্রহন বাধ্যতা মুলক করলেও তারও অনেকেই শেষ পর্যন্ত টিকা গ্রহন করেনি। এর মধ্যে অনেকেই আবার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করলেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহন করেন নি।

এদিকে সার্ভার সমস্যার কারনে ফোনে এসএসএস পাওয়া লোকজন নির্দ্দিষ্ট দিনে হাসপাতালে টিকা গ্রহন করতে গিয়ে তাদের এসএমএস স্ক্যানিং সার্ভারে না নেয়া টিকা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে অনলাইনে টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের ১৫দিনেও অনেকে টিকা গ্রহনের ফিরতি তারিখের এসএমএস না পাওয়ায় অজানা আশংকায় চিন্তিত হয়ে পরেছেন আবেদনকারীরা।

সূত্র মতে, ৭ ফ্রেব্রুয়ারি উদ্বোধনে দিন থেকে সোমবার ২৬জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন উপজেলার ১৫ হাজার ৫শ ২২জনে।
এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছেন ৭হাজার ৭শ ৮৩জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছেন ৪ হাজার ২শ ৯৫ জন। গ্রথম ডোজ টিকা গ্রহন নেয়নি ৭ হাজার ৭শ ৩৯জন। তিন ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে টিকা মজুদ বা সরবরাহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮শ ডোজ।

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী সারা দেশের সাথে আগেলঝাড়া উপজেলায়ও কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ১৮জন, ৮ ফেব্রুয়ারী ১৬ জন, ৯ ফেব্রুয়ারী ৩০ জন, ১০ ফেব্রুয়ারী ১০৬ জন, ১১ ফেব্রুয়ারী ২২০জন, ১২ ফ্রেব্রæয়ারি ২৩৭জন, ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি ৭ম দিনে ২৫৮জন, ৮ম দিনে ২০১জন, ৯ম দিনে ২৬৮জন, ১০ম দিনে ৩২০জন, ১১তম দিনে ৪১০জন, ১২তম দিনে ৩২০জন ও ১৩তম দিন ৩৫০জন, ১৪তম দিনে ২৩০জন, ১৫তম দিনে ২৩০জন, ১৬তম দিনে ২৭০জন, ১৭তম দিনে ১৭০জন, ৪২তম দিন সোমবার (২৬জুলাই)৩৬৫জন টিকা গ্রহন করেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউ.এইচ.এ.এফ.পিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন এই প্রতিনিধিকে জানান, করোনা মাহারিতেও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও ষ্ঠাফরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে কোভিড-১৯ যাবতীয় কার্যক্রমসহ হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসককে কোভিড-১৯এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দিয়ে কোভিড কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসকেরা নিরলস কাজ করার পরেও মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারনার কারণে প্রথম পর্যায়ে অনেকেই পর্যন্ত টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেন নি। তবে টিকা নেয়ায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকা গ্রহনের জন্য প্রতিদিনই হাসপাতালের বুথে টিকা গ্রহনকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে ৬হাজার ৮শ ডোজ টিকা প্রদান করা যাবে বলেও জানান ডা. বখতিয়ার আল মামুন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।