সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আগৈলঝাড়ায় দুটি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিয়ে আশংকা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আগে থেকে হাটের অনুমতি না থাকায় শেষ সময়ে এসে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট।

এ বছর উপজেলায় মাত্র দুটি পশু কোরবানীর হাটের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও গৈলা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর সামনের মাঠে রবিবার থেকে পশু কেনা বেচা শুরু হয়েছে। অস্থায়ী পশুরহাট চলবে বুধবার পর্যন্ত।

করোনা সংক্রমন ছড়ানোর আশংকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা না করেই চলছে হাটে লোক সমাগম ও পশু বেচা কেনা।

থানাও ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, তিনি রবিবার সরেজমিনে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে (বাশাইল) পশুর হাটে ইজারাদার কমিটির লোকজনকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। হাটে প্রবেশ এবং বাহিরের সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার করা এবং মাক্স ছাড়া কাউকে হাটে প্রবেশ না করতে দেয়ার উপরও কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বছর ভারতীয় গরু হাটে না থাকায় পাইকার ও খামারীরা দেশী গরুর দামও হাকছেন একটু বেশী। হাটের প্রথম দিন রবিবার বেচা-কেনা তেমন না হলেও ক্রেতারা হাটে এসে তাদের কোরবানীর পশু পছন্দ করা এবং দাম করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

গত বছরের তুলনায় এবছর হাটে বেশী পশু আমদানী হবে বলে জানিয়েছেন হাটের আয়োজকরা। এবছর হাটে আসা সব পশুই দেশী। অন্যান্য বছরের তুলনায় পশুর দাম একটু বেশী চাইছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

অনেক ক্রেতাই শেষ সময়ে গরুর দাম কমার আশায় অপেক্ষা করছেন। বিক্রেতা পাইকার ও খামারীদের অভিযোগ, গরু প্রতি একহাজার থেকে দেড় হাজার টাকা খাজনা নেয়া হলেও তাদের জন্য থাকা খাওয়াসহ বিশেষ কোন সুবিধা দেয়া হয় না হাট কমিটি থেকে।

গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান ও হাট ইজারা কমিটির সভাপতি শফিকুল হোসেন টিটু পাইকারদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাটে পশু নিয়ে আসা পাইকার ও খামারীদের ইউনিয়ন পরিষদের দোতলায় থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া তার হাটে কোন খাজনা নেয়া হয় না, যারা পশু কেনেন তারা যে আর্থিক সহযোগীতা করেন তাই নেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রাজিহার হাটের ইজারাদার জোনায়েত মোল্লা বলেন, প্রথম দিনে সকালে ৪০টি গরুর মধ্যে ১৪টি বিক্রি হয়েছে। পাইকার ও দুরের ক্রেতাদের অবিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন, তাদের খাবারের জন্য বাজারে একটি হোটেল সব সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের রুম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএএফপিও) ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, সরকার লকডাউন শিথিল করেছে ঠিক, তার জন্য এলাকায় গরুর হাট বসানো ঠিক হয় নি। তার পরেও যারা অনুমতি পেয়েছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত আরোপ করেছে সরকার, যা হাট কমিটি প্রতিপালন করছে না। ফলে পশুর হাট থেকে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এখন সবচেয়ে বেশী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।