আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর স্থায়ী হাট শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে হাটগুলোতে ভরপুরভাবে গরু চলে এসেছে। সে ভাবে প্রথম দিন হাটে তেমন গরু বিক্রি হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। কারণ গরুর তুলনায় হাটে ক্রেতা অনেক কম। আর যেগুলো বিক্রি হয়েছে তার বেশীরভাগ ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। সরজমিনে, অনন্ত ২০ টি গরু বিক্রি করতে দেখা যায় যার বেশীর ভাগ ৬০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে। দুই-একটা লাখ টাকার উপরে। এরমধ্যে একটি গরু ও ২ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে দেখা যায়নি। শনিবার (১৭ জুলাই) সারাদিন এমন দৃশ্য ছিল পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর কোরবানির পশুর হাটে।
আজ রবিবার (১৮ জুলাই) ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর কোরবানির পশুর হাটে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, হাটে গরুর তুলনায় বিক্রি এখনো ভরপুর শুরু হয়নি। তবে যেগুলো বিক্রি হচ্ছে এদের বেশীর ভাগই ছোট গরু। অন্য বছরের তুলনায় এবার তারা দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তবে আশা করছেন আজ থেকে সব ধরনের গরু বিক্রি বাড়বে। তবে তারা আশা করছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অন্যান্য বছরের মতো গরু বিক্রি করতে পারবেন।
পাবনা, নাটর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রচুর গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন এগুলো মাঝারি সাইজের। তবে সবাই আশা করছে বড় গুলা আজ থেকে বিক্রি করতে পারবে। এখন যারা আসছেন তাদের অনেকে দরদাম দেখতে আসছেন।
তাড়শ থেকে ছাত্তার আলী পশু কিনতে হাটে এসেছেন, কী ধরনের গরু কিনবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি একটা গরু কিনবো। ঠিকঠাক মতো পেলে আজই নিয়ে যাব। না হয় পরে আবার আসব।
ভাঙ্গুড়ার মাস্টার পাড়ার ক্রেতা আমজাদ মিয়া বলেন, ৭০ হাজার টাকা দিয়া একটা ছোট ষাড় নিছি। প্রথম দিনই কিনে ফেলছি। কারণ পরে ভিড় বাড়বে। মূলত ঝামেলা কমানো জন্যই আগেভাগে কিনে ফেললাম।
উপজেলার জাকের আলী ৩০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন। জাকের বলেন, এখন পর্যন্ত ৫টি ছাগল বিক্রি করেছি। বাকীগুলো হাটের নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করে ফেলতে পারবো। দাম কেমন জানতে চাইলে বলেন, দাম ঠিকই আছে আল্লাহ’র রহমতে।
হাটে আসা আনছার আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, এখনো কিনতে পারিনি। তবে দরদাম চলছে। বিক্রেতারা মনে করছেন পরে আরো বেশী দাম বিক্রি করবেন। আর আমরা মনে করছি পরে আরো কম দামে কিনবো। তাই প্রথমদিন তুলনামূলক বিক্রি কম হচ্ছে বলে মনে হয়।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাটের ইজারাদার সামছুল হোসেন বলেন, প্রথমদিন ক্রেতারা তেমন নামেনি। তাই বিক্রি কম হয়েছে। আনুমানিক ২০০ মতো পশু বিক্রি হয়েছে বলে ধারণা করছি। আশা করি রবিবার থেকে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। এ ছাড়া আমাদেও হাটে সার্বক্ষণিক ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করছি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স ব্যবহার করে এবং হাটের চারপাশে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও মাস্ক দিচ্ছি।
#চলনবিলের আলো / আপন