রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় গোখাদ্যে ভেজাল বিপাকে পশু খামারীরা

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ও নিম্নমানের গোখাদ্য চড়াদামে বিক্রির কারণে বিপাকে পড়েছে পশু খামারিরা। গমের ভূষিতে , কাঠের গুড়া, ডলচুনসহ নিন্মমানের পচা আটা মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল এ পশুখাদ্য। ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্য গ্রহণের ফলে পশুর বিভিন্ন পেটের পীড়া, স্বাস্থ্যহানি ছাড়াও দুগ্ধবতী গাভীর দুধের পরিমান কমে যাচ্ছে বলে দাবি পশু বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি গোখাদ্যের ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ভোজাল, নিম্নমানসহ নানা ধরণের কৌশলে খামারীদের শোষন করছেন। এগুলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন পশুর খামারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুমির গঠন ও পরিবেশগত কারণে ও মিল্ক ভিটা সংলগ্ন হওয়াতে এ উপজেলায় গোখামারীদের সংখ্যা বেশী অপরদিকে এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ও ব্যক্তি উদ্দ্যোগে অনেক পশুর খামার গড়ে ওঠেছে। আর খামারীরা পশুর সহযোগি খাদ্য হিসেবে ভুষি,খৈ ব্যবহার করে থাকে। সেই সুবাদে এই উপজেলার পৌর এলাকায় অনেক পশুর খাদ্যের ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে। কিন্তু পশুর খাদ্যের ব্যবসার পাশাপাশি কেউ কেউ গড়ে তুলেছে ভেজাল খাদ্যের কারখানা। যেখানে ব্যাপকহারে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেজাল গোখাদ্য তৈরি হচ্ছে গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত । কেউ বা এ গ্রেড খৈল এর সাথে বি গ্রেড খৈ মিশিয়ে নতুন করে বস্তা প্যাকেট করে এ গ্রেড খৈল বলে চড়া দামে বাজারে চালিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ভাঙ্গুড়া বাজারের অনেক খৈল-ভুষির ব্যবসায়ী আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।

কিন্তু এ অঞ্চলের গোখামারিরা দুধ উৎপাদন করে মিল্কভিটাসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু ভেজাল খাদ্যের দৌরাত্মে কমেছে তাদের দুগ্ধ উৎপাদন। পক্ষান্তরে খামারীরা নিরুপায়ে হয়ে এসব ভেজাল খাদ্য চড়াদামে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে খামারীদের পশু পেট ফাপা , বদ হজমরোগ সহ স্বাস্থ্যহানি হয়ে দুগ্ধবতী গাভীর দুধ করে যাচ্ছে। তাই ছোট ছোট খামারিদের পশু পালন করে খরচ তুলতেই প্রায়ই হিমসিম খেতে হচ্ছে।

অষ্টমনিষা এলাকার খামারী মো. নওশাদ আলী বলেন, দুগ্ধবতী গাভীর পেটের পীড়ায় প্রায় ৩মাস ধরে চিকিৎসা দিয়ে অনেক টাকা নষ্ট হয়েছে।

উপজেলার সাবেক প্রাণি সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভেজাল গোখাদ্য খাবার ফলে পশু পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে। পেট ফাপা ও বদহজম রোগসহ পশুর স্বাস্থ্যহানি, দুগ্ধবতী গাভীর দুধ কম হবে। দুগ্ধ খামারিরা ভেজাল গোখাদ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।