শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জাতীয় করোনা চিকিৎসার ন্যাশনাল গাইড লাইন উপেক্ষা করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার রোগীদের ইনজেকশন পুশ করা নিয়ে অসন্তোষ

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

বাংলাদেশ জাতীয় করোনা চিকিৎসার ন্যাশনাল গাইড লাইন উপেক্ষা করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ওয়ার্ডের ৫জন রোগীকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করায় একাধিক ডাক্তারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে স্থানীয় এবং চিকিৎসকদের মধ্যে মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক চিকিৎসক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান মনিরের অধীনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে ৫জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। ওই ৫জন রোগীর বেডহেড টিকিটে ডা. মনিরুজ্জামান এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন মেরোপেনাম ১গ্রাম (প্রতিদিন ৩ বার) ও মক্সিব্যাক ৪০০ এমজি (প্রতিদিন ১বার) পুশ করতে ব্যবস্থাপত্র দেন। সরকারি ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ইনজেকশন সরবরাহ না থাকায় রোগীর স্বজনরা গত বুধবার সকাল থেকে বাহিরের ফার্মেন্সী থেকে প্রত্যেকটি মেরোপেনাম ১ গ্রাম ইনজেকশন ১৩০০ টাকা ও প্রত্যেকটি মক্সিব্যাক ৪০০ এমজি ইনজেকশন ৪০০টাকা দরে কিনে এনে রোগীকে পুশ করিয়েছেন। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে শনিবার রাতে দায়িত্বরত এক নার্স এক রোগীকে ওই ইনজেকশন পুশ করেননি। ইনজেকশন পুশ না করার ঘটনা নিয়ে ডা. মনিরুজ্জামানসহ অন্য ডাক্তারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাজেদুল হক কাওছার জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন করায় পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে ১৬বেডের ওই পুরুষ ওয়ার্ডকে গত ২সপ্তাহ পূর্বে করোনা ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ৭ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামানের অধীনে করোনার ৫রোগী ও অন্য ডাক্তারের অধীনে ২ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডা. মনিরুজ্জামান ওই ৫ রোগীর বেডহেড টিকিটে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন মেরোপেনাম ১ গ্রাম (প্রতিদিন ৩ বাব) ও মকক্সিব্যাক ৪০০ এমজি (প্রতিদিন ১বার) পুশ করার কথা লিখেছেন। তাই রোগীর স্বজনরা গত ৫ দিন ধরে বাহির থেকে ওই ইনজেকমন কিনে নার্স দিয়ে পুশ করাচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয় করোনা চিকিৎসার ন্যাশনাল গাইড লাইন অনুসরন করলে ওই এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করা যাবে না। এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি নিরসন করেন। এরপর জেলা সিভিল সার্জন বাংলাদেশ জাতীয় করোনা চিকিৎসার ন্যাশনাল গাইড লাইনের কপি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছেন বলে আরএমও ডা. কাওছার জানান।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, আমার চিকিৎসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্য ডাক্তারদের পছন্দ হয় না। আমি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ডিউটি করেছিলাম। দেশের কোভিড-১৯ হাসপাতালগুলোতেও ডাক্তাররা করোনার রোগীদের ওই ইনজেকশন লিখেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।