ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবারের অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ সাংবাদিকের নামে মামলা করা হয়। শুক্রবার সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ চপল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি করেন।
পুলিশ পরদিন শনিবার রাতে তানভির হাসান তানুকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডালিম রায় তানুর ৫ দিনের রিমান্ড আবদেন করলে রোববার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক আরিফুর রহমানের আমলী আদালত তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন মঞ্জুর করেন। মামলা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হালিম, সিনিয়র এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম, এ্যাড. এমরান হোসেন চৌধুরী, ফজলে রাব্বি বকুল, এ্যাড. লিয়ন।
তানু ইনডিপেনডেন্ট টিভি, দৈনিক ইত্তেফাক ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি এবং ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক। মামলায় নিউজবাংলা টুয়েন্টিফোরের সংবাদদাতা রহিম শুভ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটুকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি তানভির হাসান তানু স্ব-পরিবারে করেনায় আক্রান্ত হন। তাই গ্রেফতারের পর অসুস্থবোধ করায় রাতে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় হাতকড়া লাগানো অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। তানুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অবশেষে রোববার দুপুরে তানুকে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে তোলা হলে তার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অবিলম্বে তানভির হাসান তানুর বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যরা।
#চলনবিলের আলো / আপন