শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাড়াশে গ্রামে গ্রামে পাট কাটার ধুম

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১

তাড়াশ  উপজেলায় কৃষকরা এখন পাট গাছ কাটা, জাগ দেওয়া, শুকানো ও বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার অধিক বৃষ্টির কারণে জলাশয়ে পানি জমে থাকার ফলে পাট চাষিরাও খুঁশি। চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি উচ্চ দামের আশা করছেন কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,এ বছর উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির মধ্যে পাট চাষের জন্য ১৭ হাজার ৬’শ ৬৫ হেক্টর জমি নির্ধারন করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে  ১ হাজার ৬’শ ২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি পনের বেল। এ হিসেবে বিঘা প্রতি আট মণ পাট কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন।

বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে উপজেলার সর্বত্র পাট কাটা শুরু হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাট কাটা চলবে । তবে পাট জাগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় ডোবা-নালা,খাল-বিল ও জলাশয় কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক জমি থেকে পাট কেটে ভ্যান ভাড়া করে ৪/৫ কিলোমিটার দুরে নদীতে ও দুরবর্তী বিভিন্ন জলাশয়ে নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। জমিতে পাট কাটার উপযুক্ত হলেও জাগ দেওয়ার জায়গার অভাবে পাট কাটতে পারছেন না অনেক কৃষক। কেউ কেউ জায়গা ভাড়া করেও পাট জাগ দিচ্ছেন।  সার ,বীজ, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচ ছাড়াও তাতে বাড়তি খরচের হিসাব টানতে হবে  বলে কৃষকরা জানান।

মহেশরৌহালী গ্রামের পাটচাষি ছোরহাবপ উদ্দীন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ১বিঘা জমিতে পাট আবাদসহ ধুয়ে শুকিয়ে ঘরে তুলতে সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রতি বিঘায় প্রায় ৮ হাজার টাকা।  বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ পাট উৎপন্ন হবে বলে আশা করছেন তিনি। গত বছর বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ১হাজার ৫’শ টাকা দরে । নানাবিধ খরচের কারণে  এবছর ওই দামে প্রতিমণ পাট বিক্রি করতে  না পারলে আবাদে লাভ হবেনা তার।

বিরল গ্রামের  আরেক চাষি সামাদ আলী এবার ৬ বিঘা জমিতে  পাটের আবাদ করেছেন। উৎপাদন আশা করছেন বিঘা প্রতি ৮ মণ। বাজার দর ভালো পেলে আবাদে লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।   ব্যসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ২/১ সপ্তাহের মধ্যে হাট বাজারে নতুন পাট  বেচা-কেনা শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নেসা বেগম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। পাটের বহুবিধ ব্যবহারের ফলে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।  গত বছর ভালো দামে পাট বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।