বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিংড়ায় বন্ধের মুখে ৪২টি কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১

মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউন আর র্দীঘ দিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাসের পর মাস ঘর ভাড়া টানতে গিয়ে বন্ধের মুখে পড়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৪২টি কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, সিংড়া পৌরসভা সহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৪২টি কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের খরচ সহ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়। কিন্ডার গার্ডেনের কয়েকজন পরিচালক জানায়,গত বছর ২০২০ সালের ১৭ র্মাচ থেকে সারাদেশ ব্যাপী কিন্ডার গার্ডেন সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিতে পারি নাই। প্রতিষ্ঠানের আেেয়র উৎস বন্ধ হওয়ায় বেতন ভাতা দিতে পারি নাই শিক্ষক কর্মচারীদেরও।

তারা আরও জানায়,শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারলেও প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রতি মাসেই। প্রায় ১বছর ৪ মাস ধরে ঘর ভাড়া দিতে গিয়ে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। এরই মধ্যে উপজেলার চৌগ্রাম আছিয়া মেমোরিয়াল কেজি স্কুল,পাটকোল মজিরন নেছা কেজি স্কুল এবং হাট তাজপুরের জিনিয়াস কেজি একাডেমি স্কুল এককালীন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই ৩ প্রতিষ্ঠনের পরিচালক। উপজেলার শেরকোল ইকরা প্রি-ক্যাডেট এন্ড জুনিয়র স্কুলের পরিচালক জিএম মোর্শেদ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ১১জন। গতবছর স্কুল বন্ধ হওয়া পরও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের ৩/৪মাস বেতন দিয়েছি। প্রতিমাসে ঘর ভাড়া দেই ১০ হাজার ৫শত টাকা। আয়ের কোন উৎস নাই।

মাসে মাসে ঘর ভাড়া দিয়ে আর কতদিন এভাবে প্রতিষ্ঠান ধরে রাখবো। আল-হেরা কেজি একাডেমি স্কুলের পরিচালক ও বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়ান সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন,উপজেলার ৪২টি কিন্ডার গার্ডেনে প্রায় সাড়ে ৩শত শিক্ষক কর্মচারী আছেন। র্দীঘ দিন ধরে তারা বেতন ভাতা না পেয়ে কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। করোনাকারীন সময়ে আমরা সরকারী কোন প্রনোদনা পাই নাই। এমতাবস্থায় এই প্রতিষ্ঠান গুলো টিকিয়ে রাখার লক্ষেই প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়ার জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা দাবি করছি। তা না হলে বাকি প্রতিষ্ঠান গুলোও একসময় এককালীন বন্ধ হয়ে যাবে।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।