সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভূয়া পে-অর্ডার দিয়ে কুষ্টিয়ায় সওজের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১
কুষ্টিয়ায় ভূয়া পে-অর্ডারের মাধ্যমে সওজের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাজের বিপরীতে জামানতের ভুয়া পে-অর্ডার জমা দিয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতুর টোল আদায়ের এই আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কাজের মেয়াদ শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই পে-অর্ডার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় ক্যাশ করতে গেলে এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সড়ক জনপথ বিভাগ কেউই এ ঘটনার দায় নিতে চাইছে না। তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ার লাহিনী পাড়ায় গড়াই নদীর উপর নির্মিত মীর মশাররফ হোসেন সেতুর (সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতু) টোল আদায়ের দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, দরপত্র অনুযায়ী প্রতিবছর তিন মাস অন্তর অন্তর ৪ কিস্তিতে টোলের টাকা পরিশোধ করার কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। এক্ষেত্রে দুই কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জামানত হিসাবে রাখা বাধ্যতামূলক। সে অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার প্রায় আড়াই কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুষ্টিয়া অফিসে জমা দেন। এদিকে, যেহেতু দুই কিস্তির টাকার সমপরিমাণ টাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আগেই জামানত হিসাবে জমা রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সে কারণে কাজের মেয়াদ শেষে টোলের টাকার শেষ দুটি কিস্তি জমা দেয়নি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সোমবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওই পে-অর্ডার দুটো সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখায় ভাঙ্গাতে গিয়ে জানতে পারে এগুলো জাল। এ ঘটনায় এখন একে অপরকে দুষছে সংশ্লিষ্টরা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হালিমুজ্জামান জানান, ‘কাজের অর্ডার পাওয়ার পর জামানতের জন্য দুটিসহ মোট ছয়টি পে-অর্ডার সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমা দিয়েছিলাম।
সড়ক ও জনপথের তৎকালীন কর্মকর্তারা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে সেটা যাচাই বাছাই করে নেন। পরে সড়ক জনপথ বিভাগ জামানতের দুটি পে-অর্ডার ছাড়া বাকি চারটি পে-অর্ডার ভাঙিয়ে ক্যাশ করেও নেন। এখন তিন বছরের মাথায় এসে কি করে সেই পে অর্ডার জাল হয়ে গেল সেটা মাথায় ঢুকছেনা। তিনি বলেন, ‘সাউথইস্ট ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার জাকির হোসেন কারসাজি করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার ধারণা’।
এদিকে হালিমুজ্জামানের আরও দুইজন পার্টনার রয়েছে তারা হলেন, দুই সহোদর মিরপুর পৌর মেয়র হাজি এনামুল হোসেন ও কামাল হোসেন। কুষ্টিয়া সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার পে অর্ডার দুটি ব্যাংকে ক্যাশ করতে গিয়ে ধরা পড়ে এ দুটি আসল নয় জাল। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত মামলা করা হবে করা হবে। পাশাপাশি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা এর দায় এড়াতে পারে না। সে কারণে তাদের এই মামলায় পক্ষ ভুক্ত করা হবে।
সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা বর্তমান ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছি। আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। যে সময়ের ঘটনা তখন জাকির হোসেন নামে একজন এখানে ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
প্রসঙ্গত, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই নতুন নয়। এর আগে একই সেতুর টোল আদায়ের কাজে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন এই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কুষ্টিয়া সুগার মিলে একটি ঠিকাদারি কাজের একইভাবে ভুয়া পে-অর্ডারের দিয়েছিল তারা। সেটা ধরা পড়ার পর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সে সময় মামলা হয়। এতসব অভিযোগের পরেও এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বারবার কি করে কাজ পায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।