অভয়নগরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কঠোর লকডাউনেও তারা গ্রাহকদের সাথে র্দূব্যবহারসহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যহত রেখেছে। সাধারণ মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেনা। তাদের দৈনন্দিন ব্যবহার সীমিত হওয়াসহ উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ বিলসহ কিস্তি প্রদান তাদের জন্য মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষনা না থাকায় এনজিও সমিতিগুলো চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায় অব্যহত রেখেছে। সাধারণ মানুষের উপার্জন ব্যহত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার অনুনয় বিনয় উপেক্ষা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে।
বিভিন্নভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করলেও তার কোন প্রতিকার নেই। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ডিমান্ড চার্জটা কি? কেন ডিমান্ড চার্জের নামে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে? মিটার গ্রাহকের টাকায় কেনা স্বত্বেও ১০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে কেন? ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, বিলম্ব মাশুল ইত্যাদির নামে আর কত দিন পল্লী বিদ্যুৎ সাধারণ মানুষকে শোষন করবে?
উপজেলার মহাকাল এলাকার সুভাষ বলেন, দিনে-রাতে অসংখ্যবার লোডশেডিং হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ বিল একই রকম আছে। বর্তমানে মিটার না দেখে বিল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ফলে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বিল হচ্ছে।
উপজেলার শংকরপাশা-বুনোরামনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা স্বত্বেও সমিতি কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি সংযোগ দেয়নি।
নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের মোকছেদ মোল্যার পুত্র দবির মোল্যা (৫০) সাংবাদিকদের বলেন, আমি চারা মাছের ব্যবসা করি। ক্রমাগত লক ডাউনের কারণে মাছ বিক্রি করতে না পারায় আমার বিদু্যুৎ বিল বকেয়া হয়, আর এ কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অফিসের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে। আমি তাদেরকে আগামীকাল রবিবার সকাল পর্যন্ত সময় চেয়ে অনুরোধ করলে তারা আমার সাথে র্দূব্যবহার করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে যায়। প্রচন্ড খরায় আমার ঘেরে পানি সেচ দেওয়া বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৫,৭৫,০০০/-(পাঁচ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা) টাকার মাছ মরে যেতে পারে আশংকা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ তালতলা অফিসের ডিজিএম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সরকারের নিকট থেকে নগদ মূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় করি তাই বিল বকেয়া রাখার সুযোগ নেই।
#চলনবিলের আলো / আপন