টেকনাফ মডেল থানাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কর্তৃক সন্দেহভাজন আটককৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি অতঃপর পাকস্থলিতে রক্ষিত ইয়াবা তার পায়ুপথ হতে উদ্ধার। বিগত ১০ জুন রাত অনুমান ৮:৫০ মিনিটের দিকে টেকনাফ মডেল থানাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি চৌকষ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে ঐ ইয়াবা কারবারি কে আটক করে। টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর ডালার মুখ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটককৃত মাদক কারবারি টেকনাফ থানার হোয়াইক্যাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল এলাকার নূর হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২২)। তাকে মাদক পাচারকারী হিসেবে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশী করে কিছু না পাওয়ায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একপর্যায়ে আসামী স্বীকার করে যে, সে ইয়াবা গিলে ফেলেছে এবং ইয়াবা তার পাকস্থলীতে রয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ আসামীকে হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করে। এক্স-রে রিপোর্ট এ দেখা যায় আসামীর পাকস্থলিতে টেপ দিয়ে মোড়ানো পুটলির মতো কিছু রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ঔষুধ সেবণের মাধ্যমে তার পায়ূপথ হতে টেপ দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ৩৬টি পুটলি বের করে দেখে যে, পুটলি গুলোতে ইয়াবা রয়েছে। গননা করে দেখা যার পুটলিগুলোর মধ্যে ১৮০০ (এক হাজার আটশত) পিস ইয়াবা (মাদক) রয়েছে। এছাড়াও মাদক কারবারে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ও মাদক স্থানান্তর কাজে ব্যবহৃত ০১ (এক) টি সিএনজি উপস্থিত স্থানীয় জনগন ও সাক্ষীদের সামনে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যমতে তার নিকট ইয়াবা সরবরাহকারী অপর আসামী নুর আহম্মেদ (২৩), পিতা- মোহাম্মদ আলী, সাং- লম্বাবিল, (৩নং ওয়ার্ড), হোয়াইক্যাং, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন