ময়মনসিংহের নান্দাইলে সরকারি খাল দখল করে জমি তৈরি করে ফেলেছে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউপির সিংদই গ্রামে। এতে করে অপরপক্ষের দুই একরের বেশি তিন ফসলির জমি ছয় বছর ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
গত ১৪ জুন সহকারী কমিশনার ভুমি নান্দাইলের অনুকূলে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগের অনুলিপির কপি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হলে বিষয়টি জানা যায়।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়।সিংদই গ্রামের মৃত নূর হোসেন পুত্র আঃ সালাম ভূইয়া আঃ রশিদ ভূইয়া, সহ মোঃ শফিকুল ইসলাম গংদের বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগকীদের ভাষ্য মতে ধোল্লাইয়া বিল হতে শুরু হয়ে আওয়ামীলীগ নাজিবুল্লাহ লিটনদের বাড়ি পর্যন্ত ১০-১২ ফুট প্রস্ততের পুরাতন খাল চলমান রয়েছে। গত বছর ছয়েক পূর্বে কতিপয় ব্যাক্তিদ্বয় নাজিম উদ্দীনের জমি হইতে মোতালেব ভূইয়ার জমি পর্যন্ত লম্বায় প্রায় ২০০-২৫০ গজের মতো খালের ২-২.৫ ফুট রেখে বাকি অংশ ভরাট করে জমি তৈরি করে ফেলেছে।
এতে অভিযোগকারী জহিরুল ইসলাম ফকির, সাইজ উদ্দিন ফকির গংদের জমিতে চলাচলের রাস্তা সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ হয়ে যায়। তারা বলেন খালের অপরপ্রান্তে আমাদের বাপ চাচাদের প্রায় তিন একরের মতো সম্পত্তি রয়েছে। খালের পাড়ের রাস্তা দিয়ে আমরা আমাদের জমিতে যাতায়াত করতাম। খালের এই অংশটি ভরাট করে বিবাদীরা আমাদের ফসলি জমিতে চলাচলের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়।এতে করে দীর্ঘ ছ’বছরে আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
বিবাদীরা আমাদের জমি তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য ভয়ভীতি হুমকি দামকি প্রদর্শন করছে।
নান্দাইল পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়া, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন কাইয়ুম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হলেও সমস্যার কোনরূপ সমাধান হয়নি।
অভিযোগকারী জহিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে আমি ইউএনও,উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। অজ্ঞাত কারণে আজ অবধি এর কোন সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, সামাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে, দীর্ঘদিন ধরে পতিত জমিতে চলাচল করে যাতে ফসল ফলাতে পারি এমন পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতি তারা দাবী জানায়।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া কাইয়ুম বলেন, আমরা ইতিপূর্বে একবার বসে ছিলাম কিন্তু সমাধান হয়নি। সমস্যা সমাধানে দু’পক্ষের আন্তরিকতা প্রয়োজন।
বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলাম আজ অবধি তারা দলিল রেজিষ্ট্রেশন করে দিচ্ছে না।এই বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কিছুটা বিরোধ রয়েছে। এমনকি তারা আমাদের কাছের প্রতিবেশী চেষ্টা করবো দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার।
#চলনবিলের আলো / আপন