বুধবার , ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাড়াশে চলছে নৌকা তৈরির ধুম  

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

তাড়াশে চলছে নৌকা তৈরির ধুম। চলছে পুরোনো নৌকা মেরামতের কাজও।  প্রতিবছর বর্ষা  আসার আগেই  চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শুরু হয় নৌকা তৈরির কাজ। এ সময়টাতে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।  বর্ষাকালে এ উপজেলার অধিকাংশ জনপদ পানিতে থৈ থৈ করে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট ,নদী-নালা, খাল-বিল। যাতায়াত করতে হয় নৌকায়। মৎস্যজীবিরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন ছোটবড় নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম আসলেই এখানে বেড়ে যায় নৌকার কদর।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মান্নান নগর,নওগাঁ বাজার ও হামকুড়িয়া বাজারে প্রায় ৩০/৪০ টি কাঠমিস্ত্রি পারিবার রয়েছে। কাঠের কাজ তাদের প্রধান পেশা। এসকল কাঠমিস্ত্রিরা বর্ষা মৌসুম শুরুর মাস খানেক আগে থেকেই নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বছরের বাকি সময়টা তারা চেয়ার-টেবিল, দরজা- জানালা প্রভৃতি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নৌকার কারিগর কাঠমিস্ত্রি আতাউর রহমান বলেন, কাঠের কাজ তার পেশা। বর্ষাকাল শুরুর ১/২ মাস আগে থেকেই তিনি নৌকা তৈরির কাজ শুরু করেন। বর্ষায় নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালা তৈরি করে চলে তার সংসার।

এলাকার প্রবীণ কাঠমিস্ত্রি বিশনো সূত্রধর জানান, ৯ হাত লম্বা একটি নৌকা   ৩ /৪ হাজার টাকা এবং ১২ হাত নৌকা ৫/৬ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, কারখানা ছাড়া হাট-বাজারে তিনি নৌকা বিক্রি করেন না। তাড়াশের আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এসে তার কাছ থেকে নৌকা তৈরি করে নিয়ে যায়।

কাঠমিস্ত্রি আলামিন জানান, শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নয়। মুসলমানদের অনেকেই এখন এ পেশার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, এ সময় নৌকা তৈরির কাজ বেশি পান। গত কয়েকদিনে তিনি বেশ কয়েকটি নৌকা বিক্রি করেছেন।

উপজেলার মাধাই নগর গ্রামের দুগ্ধখামারী বাবলু ফকির জানান, তিনি সাড়ে ৯ হাত লম্বা একটি নৌকা সাড়ে ৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। বর্ষা মাসে তিনি কচুরিপানা কাটার কাজে নৌকা ব্যবহার করেন।

পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের ইসরাইল প্রামানিক নৌকা কিনতে এসে ছিলেন পৌরশহরের নওগাঁ হাটের কাঠমিস্ত্রি বিশনো সূত্রধরের কাছে। তিনি বলেন, বর্ষাকালে হাতে অন্যকোন কাজ না থাকায় তিনি মাছ ধরে থাকেন। তাই কাঠমিস্ত্রির কাছে এসেছেন ১২ হাত লম্বা একটি নৌকা তৈরি করে নিতে।

নওগাঁ  ডিগ্রী কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: আব্দুর রহিম বলেন, এলাকায় সড়ক পথের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হলেও বর্ষাকালে এখনও নিম্নাঞ্চলের মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম নৌকা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।