মরিচ ন্যায়্য মুল্য বিক্রি করতে না পারায় পাবনার সাঁথিয়ায় কৃষকরা লোকসানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে | শুধু কাশিনাথপুর নয় পাবনা জেলার প্রায় সকল উপজেলার মরিচ চাষিরা পানির দরে মরিচ বিক্রি করার কারণে লোকসানে গুনতে হচ্ছে কৃষকদের ।
ধুলাউড়ি, সাঁথিয়া বোয়ালমারী, চতুর হাটে পাইকারী বাজারে মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৫/৭টাকা দরে (মন প্রায় ২০০/৩০০ টাকায়) |মরিচ এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে।
মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।মরিচ প্রতিটি তরকারির রেসিপিতেই অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। দেশে সারা বছরেই এর উৎপাদন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে।
চারা রোপন থেকে শুরু করে পরিচর্যা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গাছে মরিচ আসে। তবে যদি সে মরিচ বিক্রি করতে হয় নামমাত্র পানির দরে, তবে কৃষকের হাত মাথায় আসে।এমনটাই হয়েছে মার্চ এপ্রিল মাসে রোপনকৃত মরিচ চাষিদের। অনেক কষ্টে উৎপাদনকৃত মরিচ বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
ধুলাউড়ি ইউনিয়নের পুরান ধুলাউড়ি গ্রাম থেকে মরিচ নিয়ে আসা কৃষক মোঃ হাবিবুর রহমান খা বলেন – যখন মরিচের দাম হয় তখনতো অনেক খবর পত্র পত্রিকাতে লেখা লেখি দেখি, কিন্তু এখন মরিচ চলছে এখন কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই।
তিনি আরও বলেন, মরিচ তোলার পারিশ্রমিক উঠছে না আমাদের। মরিচ গাছ থেকে তুলতেই কেজি প্রতি ৫ টাকা করে দিতে হয় সেখানে হাটে নিয়ে এসে বিক্রি করলাম ৫/৬ টাকা কেজি দরে। আমাদের অতিরিক্ত আরোও পরিবহন খরচ লাগলো নিজ পকেট থেকে।
মরিচের ব্যাপারী মোঃ মনজু প্রামানিক বলেন এখন মরিচের ভরা মৌসুম হওয়ায় মরিচের দাম বেশ কম। কম দামে মরিচ কিনে বিক্রি করে খুব একটা লাভ হচ্ছে না আমাদের । তবে তিনি কিছুদের মধ্যে মরিচের দাম ভাল হলে আমরা ব্যবসায়ীরা ও কৃষকেরা উভয়ই লাভবান হবে বলে আশা করছি |
ধুলাউড়ি ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী বলেন, মরিচের এখন ভরা মৌসুম হওয়ায় দাম কিছুটা কম। আগামী আষাঢ় শ্রাবণ -মাসে(জুলাই – আগষ্ট) মরিচের দাম চড়া হবে তিনি আশা প্রকাশ করেন |
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এ বছরে কাশিনাথপুর ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ রোপণ করা হয়েছে।পাবনা জেলা ডিডিএই দপ্তর, খামারবাড়ী, এর উপসহকারী কৃষি অফিসার সেখ জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান এবছর পাবনা জেলায় প্রায় ৩৯১৩ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ করা হয়েছে |
তিনি আরোও বলেন চাযীদের মাঝে সরকারীভাবে প্রণোদনায় হিসেবে মরিচের বীজ বিতরণ করা হয়েছে থাকে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে যাতে করে উন্নত জাতের মরিচ চাষ করে চাষীরা লাভবান।
#চলনবিলের আলো / আপন