জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে এক যুবতীকে (২০) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবতী বাদি হয়ে হিজলা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
আদালতে জবানবন্দি ও মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই যুবতীকে বৃহস্পতিবার সকালে হিজলা থেকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার। মামলায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানন্দনপুর ইউনিয়নের মাধবরায় গ্রামের খলিল হাওলাদারের পুত্র মাইদুল ইসলামকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। মাইদুল ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক। অন্যদিকে নির্যাতিতা ওই যুবতীর বাড়িও একই এলাকায়। যুবতীর বাবা-মা নেই। তিনি ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
মামলার এজহারে জানা গেছে, ওই যুবতী ঢাকার উদ্দেশ্যে গত ২৯ মে সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জের ভাষানচর থেকে এমভি রাজহংস-১০ নামে লঞ্চে উঠেন। তিনি ওই লঞ্চের দ্বিতীয় তলার ডেকের যাত্রী ছিলেন। অন্যদিকে একই লঞ্চের কেবিনে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন মাইদুল ইসলাম। লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষন পর সাইদুল ইসলাম পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওই যুবতীকে কৌশলে তার কেবিনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক রাতভর যুবতীকে ধর্ষণ করেন মাইদুল। যুবতী সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ পৌঁছে গেছে। তবে মাইদুল কেবিনে নেই। মাইদুলকে অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে যুবতী লঞ্চ থেকে নেমে মাইদুলের ঢাকার কর্মস্থলে গিয়ে জানতে পারেন সেখানেও মাইদুল নেই।
পরবর্তীতে মাইদুলের সন্ধান না পেয়ে যুবতী গ্রামে ফিরে মাইদুলের বাবাকে বিষয়টি জানালে সে উল্টো ক্ষিপ্ত হন। উপায়অন্তুর না পেয়ে নির্যাতিতা যুবতী বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে হিজলা থানায় মামলা দায়ের করেন। হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার জানান, মাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছেন।
#চলনবিলের আলো / আপন