শুক্রবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জলঢাকায় স্বামী ও বাবার  বাড়ীতে দাফন হলোনা মনোয়ারা বেগমের 

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১০ জুন, ২০২০
হিমেল চন্দ্র রায়,নীলফামারি জেলা প্রতিনিধিঃ
যে গ্রামের মানুষজন মনোয়ারাকে এতো স্নেহ ও ভালবাসতো আজ তারাই মনোয়ারার লাশ গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি। মর্মান্তিক এমন ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার(৯ জুন) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জলঢাকা পৌর এলাকা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ী গ্রামে। মনোয়ারা ওই গ্রামের মজদুলের মেয়ে। পরে জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের হস্তক্ষেপে প্রশাসনের সহায়তায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত মওলানার মাধ্যমে জানাজা শেষে মাগরিবের পূর্বে জলঢাকা কেন্দ্রীয় কবরস্থানের শেষ মাথায় আউলিয়াখানা নদীর ধারে মনোয়ারা বেগমের লাশের দাফন করা হয়। এক সন্তানের জননী মনোয়ার (৩০) করোনা পজেটিভ ছিল।
পারিবারিক সুত্র জানায়, মনোয়ারা তার স্বামী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ঢাকায় তৈরী পোষাক কারখানায় কাজ করতো। স্বামীর বাড়ি জলঢাকার কাঠালী ইউনিয়নে। সুত্র মতে তারা গত ৫ মে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান সহ ঢাকা থেকে রাতের বাসযোগে গ্রামের বাড়ি রওনা দেয়। পথে মনোয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা রংপুরে নেমে যায় ও মনোয়ারাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ৬ মে তাদের নমুনা নেয়া হয়। ৮ মে রংপুর পিসিআর ল্যাবের রির্পোটের নমুনায় মনোয়ারার করোনা পজেটিভ আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোয়ারার মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ১৩ হাজার টাকায় এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মনোয়ার মরদেহ তার স্বামী ও সন্তান বগুলাগাড়ী নিয়ে আসছিল। জলঢাকায় এসে তারা গ্রামবাসীর বাধায় গ্রামে মনোয়ার লাশ প্রবেশ করাতে পারেনি। তাই স্বামী স্ত্রীর লাশ নিয়ে নিজের ইউনিয়ন কাঠালীতে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত সেখানেও ব্যর্থ হয়।
এরপর মনোয়ার লাশ নিয়ে স্বামী দিশাহারা হয়ে পড়ে। অভিযোগে বলা হয় জলঢাকা পৌর মেয়রকে এ ব্যাপারে বারবার মোবাইল করে অসহায় পরিবারটি। কিন্তু মেয়র মোবাইল রিসিভ করেননি। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে অবগত করলে তার হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহায়তায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত মওলানার মাধ্যমে জানাজা শেষে মাগরিবের পূর্বে জলঢাকা শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানের শেষ মাথায় আউলিয়াখানা নদীর ধারে মনোয়ারা বেগমের লাশের দাফন করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।