রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় বন্যার আশংকায় ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক ! স্মার্ট ফোন কিনতে শিক্ষার্থীরাও মাঠে !

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২ জুন, ২০২১

গত বছর চলনবিলসহ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অকাল বন্যায় বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন পেশার মানুষ ক্ষেতের ফসল কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া উজানি ঢলের পানিতে স্থানীয় গুমানি নদী ইতোমধ্যে ফুসে ওঠায় নিম্নঞ্চলের কৃষকরা অনেকটাই উদ্বিগ্ন। তাই এবার কৃষকের পাশাপাশি নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও ধান কাটায় শ্রম বিক্রি করছেন। উপজেলার উধুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সম্মান ৪র্থ বর্ষের ছাত্র কাওছার শেখ জানায়, লক ডাউনে বাড়িতে বসে সময় কাটছে তাই কয়েক বন্ধু মিলে প্রতি বিঘা জমি চার থেকে সাড়ে হাজার হাজার টাকায় চুক্তি নিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন তারা। এতে একেক জন দিন প্রায় সাতশ টাকা আয় করছেন। একই কথা জানালেন ঝি:কলকতি গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজের ছাত্র মুনজিল হোসেন ও ইয়ামিন হোসেন।

 

এসব কৃষক সন্তানেরা ধান কেটে বড় বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে মৌসুমের সোনালী ফসল। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বকুল হোসেন ও সেলিম নামের দু’জন ছাত্র বলেন,আমাদের শতাধিক বন্ধু এবার ধান কাটায় শ্রম বিক্রি করছে। তারা আরো জানান দরিদ্র ঘরের সন্তান হওয়ায় তাদের এন্ড্রয়েড/স্মার্ট ফোন ছিলনা। সেজন্য করোনা কালিন সময়ে অনলাইনে ক্লাশ করতেও পারেনি। এসময় শ্রমিক সংকটও দেখা দেয় তাই তারা ধান কাটায় শ্রম বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, এ মৌসুমে তারা প্রত্যেকে কমপক্ষে ১২/১৩ হাজার টাকা আয় করবেন। যা দিয়ে তারা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনবেন যাতে অনলাইনে ক্লাশ করা যায়। এছাড়া এ অর্থ দিয়ে তারা কিছু জামাকাপড় ও বই পুস্তক কিনতে চান।

 

এতে নিম্ন আয়ের বাবা-মায়ের অনেকটা চাপ কমবে বলে তারা মনে করেন। খানমরিচ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামের জোতদার কৃষক আব্দুল হাই ও দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের জোতদার কৃষক আলাউদ্দিন জানান, জমির সব ধান পেকে গেছে অথচ শ্রমিকের সংকট। তখন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চুক্তিতে ধান কেটে দেওয়ায় তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এ বছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়। বন্যার আশংকা থাকলেও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামায় কিছু দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।