শুক্রবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বারো দিনের প্রেম! বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন, অতঃপর বিয়ে

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১০ জুন, ২০২০
হিমেল চন্দ্র রায়,নীলফামারি জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা মুন্সি পাড়া গ্রামের মোকছেদ আলী (পাইকার) এক মাত্র ছেলে  রাসেলের (প্রেমিক) (২৪) সাথে এক কিশোরীর প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করে কিশোরী প্রেমিকা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের মোক্তার পাড়া গ্রামে বাসা ঐ কিশোরীর।  কিশোরীর (প্রেমিকা) সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায়, বারো দিন আগে রাসেল ঘটকের মাধ্যমে আমাকে দেখতে আসে আমাদের বাড়ীতে, এবং আমাকে পছন্দ হয়েছে বলে আমার সাথে একান্ত কথা বলতে চায় এবং একটি রুমে গিয়ে আমার সাথে কথা বলার পর মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়, এবং রাসেল আমাকে ফোন দিয়ে বলে তোমাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে তোমাকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করব! একপর্যায়ে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঐ কিশোরী অভিযোগ করে বলে রাসেল আমাকে বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক অনৈতিক কাজ করে! এর আগে রাসেল  কোট ম্যারেজ করার কথা বলে সাদা স্ট্যাম্পেও সাক্ষর নিতেও চেষ্টা করেছিল কিন্তু সাদা স্ট্যাম্পে আমি সাক্ষর করতে রাজি হইনি এরপর সে আমার হাতের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং ঐ দিনেই আমাকে ডালিয়া (তিস্তা ব্যারেজ) নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক অনৈতিক কাজ করে আমার সাথে।
ঐ কিশোরী আরো জানায়, এরপর এলাকায় এসব ঘটনা জানাজানি হলে ঘটকের মাধ্যমে আমার পরিবার বিয়ের জন্য রাসেলের পরিবারকে জানানো হয়, গত শনিবার (৬ জুন) রাসেল নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে বিয়ে করতে চায় আমার পরিবার  দিতেও রাজি হয় এবং বিয়ের আয়োজনও হয় কিন্তু ছেলের পক্ষ থেকে ঐ দিন দুপুর বেলা জানানো হয় তারা আসবে না, এবং রাসেল আমাকে বলে আমরা যাবোনা পারলে তুমি নিজেই চলে আসো! তখন আমি নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় রাসেলের বাড়ীতে আসি এবং বাড়ীতে আসা-মাত্র রাসেলের মা’সহ বাড়ীর লোকজন-মিলে আমাকে মারধর করে, তখন এলাকার কিছু লোক তাদের (রাসেলের পরিবারের)  হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে  স্থানীয় মেম্বারের কাছে নিয়ে আসে, তখন আমি মেম্বারকে কে বিচার দেই,  মেম্বার আমাকে ন্যয় বিচারের আশ্বাস দেয় এবং মেম্বারের বাড়ীর পাশে একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেই। এত কিছুরপর রাসেল আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাবো না গেলে আমার লাশ যাবে! আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক কিছু এলাকাবাসি জানায়, রাসেল এক বছর আগেও একটি নারী ঘটিত ক্যালেঙ্কারি সৃষ্টি করেছিল সেটিও অবশ্য স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এবং তার পরিবারেরও এ রকম ঘটনা আরো রয়েছে, বারবার তাদের(রাসেলের) পরিবারের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসিও।
এদিকে রাসেল তার প্রেমের কথা স্বিকার করলেও রাসেলের মা কিছুতেই মানতে রাজি নয়। তার সাফ কথা বলে দেন আমার ছেলের সাথে ঐ মেয়ের বিয়ে আমি কিছুতেই হতে দিব না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল ইসলাম(মেম্বার) জানায়, দু’পক্ষের মাঝে একটি ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয় এবং আমাকে অভিযোগ দিলে আমি দু’পক্ষকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেই।
এবং সোমবার (৮ জুন) মধ্যরাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে এবং সবদিক বিবেচনা করে পরে দু’পক্ষের সম্মতিতে দু’জনের বিয়ের ব্যাবস্থা করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।