করোনাকালে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দরিদ্র এক কৃষকের পাকা ধান কেটে দিলেন উপজেলা আনসার কমান্ডার গণ। বিনামুল্যে ধান কাটতে পারায় খুশি পৌর এলাকার ওসমান গনি নামের ওই কৃষক। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
রবিবার (৩০ মে) সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার উত্তর মেন্দা মহল্লার মৃতঃ একেন আলী মুন্সির ছেলে দরিদ্র কৃষক মোঃ ওসমান গনি। মহামারি করোনায় অর্থাভাবে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ওই কৃষক। কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে তার দুই চোখের ঘুম। আর এমন সময় তার কাছে আশিবার্দ হয়ে দাড়িয়েছে উপজেলা আনসার কমান্ডার গণ ।
জানাযায়, ওসমান গনি নামের ঐ কৃষক ভাঙ্গুড়ার একটি ব্যাংকে মাত্র ৫,৪০০ টাকা বেতনের নাইটগার্ড হিসেবে চাকরি করেন। বর্তমান বাজারে মাত্র ৫,৪০০ টাকা বেতনের চাকরি করে সংসার চালানো খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠেছে তার জন্য। এমন অবস্থায় তার লাগানো জমির ধান কাটার এই ভরা মৌসুমে অর্থ এবং শ্রমিক উভয় সংকটে পড়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েন মাঠের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে।
এসময় খবর পেয়ে তৎক্ষনাত ওই দরিদ্র কৃষকের সাথে কথা বলে সাখাওয়াত হোসেন (বি,এ) এর নেতেৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার ও ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডারদের নিয়ে কৃষক ওসমান গনির মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়ার মোঃ আব্দুস সামাদ মাষ্টারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (বি,এ)। সে বর্তমান ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় ভাঙ্গুড়াতে কর্মরত আছেন। তিনি ইতিপূর্বে বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে অনেকের প্রশংসা লাভ করেছেন।
এসময় দরিদ্র কৃষক সাখাওয়াত হোসেনের এমন মহৎ কাজ দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে মাঠের মধ্যেই তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দুহাত তুলে দোয়া করেন।
#চলনবিলের আলো / আপন