যশোর অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের আটজন মেম্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার অভিযোগ তিনটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
সুবর্ণভূমির প্রতিবেদন অনুসাওে প্রথম অভিযোগ ২০২০-২১ অর্থবছরের টিআর-কাবিখা সংক্রান্ত, দ্বিতীয় অভিযোগ সংরক্ষিত আসনের তিন মহিলা মেম্বারের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ সংক্রান্ত এবং তৃতীয় অভিযোগ একজন মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করা সংক্রান্ত।
শ্রীধরপুর ইউপি মেম্বার রেক্সনা বেগম, মুসলিমা বেগম, আনোয়ারা পারভীন, মনিরুল ইসলাম মনি, আজিজুর রহমান টিতু, সুলতান মোল্যা, জাহিদুল ইসলাম কল্লোল ও গোলাম মোস্তফা ফকির স্বাক্ষরিত প্রথম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীধরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করে পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরের টিআর কাবিখা তৃতীয় পর্যায়ে কোনো মিটিং না করে আটজন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর ও আগের কমিটির সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করে প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। দাখিল করা প্রকল্প স্থগিত রেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
দ্বিতীয় অভিযোগে সংরক্ষিত আসনের মেম্বার মুসলিমা বেগম, রেক্সনা বেগম ও আনোয়ারা পারভীন উল্লেখ করেছেন, পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা তাদের ওয়ার্ডে কোনো কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করেন না। বরং কাজ নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনজন মহিলা মেম্বারের সাথে অশোভন আচরণ করেন। টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি, বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধীসহ কোনো ভাতা বা প্রকল্প কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা করেন না। এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বা জানতে চাইলে অশালীন কথাবার্তাসহ অশোভন আচরণ করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। এছাড়া কোনো প্রকল্প না দেওয়ার হুমকিও দেন। বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন অভিযোগকারী তিন মহিলা মেম্বার।
তৃতীয় অভিযোগকারী শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুর রহমান টিতুর স্বাক্ষর জাল সংক্রান্ত। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা টিআর, কাবিখা প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের রেজুলেশনে তার স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পগুলো জমা দিয়েছেন। উক্ত প্রকল্পের বিষয়ে আজিজুর রহমান টিতু কিছুই জানেন না বা চেয়ারম্যান তাকে কিছুই জানাননি। তিনি স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
তিনটি অভিযোগের ব্যাপারে শ্রীধরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা গণমাধ্যমের কাছেবলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। ২০১৭ সাল থেকে পরিষদের এই চক্রটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। লুটপাট করতে বাধা দেওয়ায় তারা এমনটি করছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান মুঠোফোনে,জানান চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন