নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল বাঘলবাড়ি গ্রামে এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় একই গ্রামের দুই প্রধান। অভিযোগ ও এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে শনিবার গভীর রাতে হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ী গ্রামের এক গৃহবধূ (২২) এর ঘর থেকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম কে আটক করে ওই গৃহবধুর স্বজন ও এলাকাবাসি।
গৃহবধূর স্বামী কাজের তাগিদে ঢাকায় থাকেন এই সুযোগে ও গৃহবধূ গরীব হওয়ায় করোনাকালিন বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী নগদ অর্থ ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বাঘলবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আঃ ছালাম ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সামাদ অনেকদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে গৃহবধূ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত ও অপমানিত হয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে পরামর্শ করে কৌশলের আশ্রয় নেন। মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধুকে দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য কুপ্রস্তাব দিলে মিথ্যা আশ্বাসে দুইজনকে রাতে বাড়িতে আসতে বলে গৃহবধু। দৈহিক সম্পক করতে আব্দুস ছালাম ঘরে প্রবেশ করে, অপরজন পল্লীচিকিৎসক আব্দুস সামাদ বাহিরে থেকে যায়।
একপর্যায় বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশি ও স্থানীয় জনতা ছালাম মেম্বরকে আটকিয়ে রাখে এবং সামাদ ডাক্তার দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঐ রাতেই গ্রামের বর্তমান মেম্বর নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য প্রধানবর্গদের খবর দিলে তারা গৃহবধুর ঘরে ছালাম কে আটক অবস্থায় দেখতে পায় এবং ঘটনাটির বর্ণনা জেনে তারা গ্রাম্য শালিসে বিচার দিবে মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছালাম মেম্বরকে ছেড়ে দেয়।
বিচার দিতে কালক্ষেপণ করলে ঐ গৃহবধূ ১৭ মে সোমবার সহকারী পুলিশ সুপার চাটমোহর অফিসে অভিযোগ দায়ের করছেন। এব্যাপারে বর্তমান মেম্বর নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। এ বিষয়ে পল্লীচিকিৎসক আঃ সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের সাথে পরে কথা বলবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সজীব শাহরিন বলেন, ওই গৃহবধু আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।