সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান এম আতিকুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্নসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা স্থানীয় সাংসদ ও ইউএনওকে সরজমিনে প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭মে) সকালে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দোবিলা গ্রামে সরজমিনে অনুসন্ধানে গেলে চেয়ারম্যান এম আতিকুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ করেন উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো: সোলায়মান আলী বিএ সহ এলাকাবাসী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো: সোলায়মান আলী বিএ অভিযোগে বলেন, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রভাষক এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজে নামে বে-নামে প্রকল্প দেখিয়ে ভুয়া ভাউচারে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন। গত ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে টিআর, কাবিখা, এডিপি ও নন-ওয়েজ প্রকল্পে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন দেখিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এর মধ্যে দোবিলা গ্রামে ওয়াবদা বাধ হতে আমার বাড়ি পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পে ইটের সোলিংয়ের বরাদ্দ দেখিয়ে সেই টাকা আত্নসাৎ করেছেন। এছাড়া দোবিলা ওয়াবদা বাদ থেকে জয়নালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের প্রকল্প দেখিয়ে কোন ধরনের কাজ না করেই টাকাগুলো আত্নসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে দোবিলা গ্রামের জয়নাল হোসেন বলেন, দোবিলা ওয়াবদা বাদ থেকে আমার (জয়নালের) বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে চেয়ারম্যান আত্নসাত করেছে।
এ নিয়ে ১৫ মে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মহোদয় ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে আমরা অভিযোগ করেছি চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
উপজেলার দোবিলা গ্রামের আব্দুল লতিফ, জয়নাল হোসেন, মোসলেম উদ্দিনসহ এলাকাবাসীরা জানান, সৌরবিদ্যুৎ, ভিজিডি, ভিজিএফ, টিউবওয়েল বিতরণ, কৃষি প্রণোদনা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন ভাতা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে স্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। এ কারনে ইউনিয়নের প্রকৃত সুফল ভোগী ও দুস্থরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প কাগজ কলমে বাস্তবায়ন দেখানো হলেও কার্যত সুফল পায়নি সাধারণ জনগণ।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের মাত্র ৪৫ হাজার টাকার কাজ ছিল। সমস্যার কারনে কাজ করা হয় নাই। তাই এত অভিযোগ ? এছাড়া ৪০ দিনের কর্মসুচির কাজ ছিল একটা সে কাজটাও গত অর্থ বছরের কিন্ত বৃষ্টির কারনে তখন কাজ করা হয়েছিল না। তবে কাজগুলো করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুর মামুন বলেন, সেই সময়ে আমি ছিলাম না। তারপরেও বিষয়টা খোজ নিয়ে দেখছি।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: মেজবাউল করিম জানান, এসব বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
#আপন_ইসলাম