বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৫ম স্ত্রীকে ঘরে তুলতে নিজ সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে জন্মদাতা পিতার বিরুদ্ধে। মুমূর্ষ অবস্থায় ওই মেয়েকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা গ্রামের মিজানুর রহমান হাওলাদার খাজুরিয়া গ্রামের ফাতেমা বেগম নামে এক নারীকে প্রথমে বিয়ে করে। তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। সন্তান জন্মের দুই বছর পর ফাতেমা বেগম স্বামী ও সন্তানকে রেখে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে মিজানুর রহমান একের পর এক বিয়ে করতে থাকে। মিজানুর রহমানের মা রহিমা বেগম জানান, সর্বশেষে চলতি বছর রমজান মাসে কোটালীপাড়া উপজেলার জোটিয়াবাড়ি গ্রামে ৫ম স্ত্রী লাকি বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে থাকাকালীন অবস্থায় মিজানুর রহমান হাওলাদারের প্রথম ঘরের মেয়ে ও ঢাকা হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী মরিয়ম আক্তার (১৫) করোনা ভাইরাসের কারনে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে থাকা শুরু করেন। কিন্তু ৫ম স্ত্রী লাকি বেগম তার সৎ মেয়ে মরিয়ম তাদের কাছে থাকলে সে সংসার করবে না বলে পিতার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার জোটিয়াবাড়ি গ্রামে চলে যায়। ঈদের পরের দিন শনিবার ৫ম স্ত্রী লাকি বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য মিজানুর রহমান ও তার মেয়ে মরিয়ম লাকির পিতার বাড়িতে যায়। কিন্তু আবারও মিজানুরের ৫ম স্ত্রী লাকি তার সংসারে ওই সৎ মেয়ে মরিয়ম থাকলে সে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে মিজানুর রহমান ৫ম স্ত্রী লাকি বেগমকে ঘরের আনার জন্য ওই বাড়িতে বসেই মেয়ে মরিয়মকে জোর পূর্বক কীটনাশক মুখে ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে পিতা মিজানুর রহমান। মরিয়মকে মুমুর্ষ অবস্থায় তার স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
#আপন_ইসলাম