সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হাটের একটির নাম সলঙ্গার হাট। আর সলঙ্গার হাট ধান বিক্রির জন্য বিখ্যাত। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফসলের বাম্পার ফলনে ইতিমধ্যেই আগাম জাতের ধান কাটা,মাড়াই শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ব্রি- ২৯ ধান পুরোদমে কাটা শুরু হবে। অতিকষ্টে ধার দেনা করে কৃষকেরা এ আবাদে ভালো ফলন পেলেও দীর্ঘদিনের করোনায় অভাব আর আসন্ন ঈদ কেনাকাটায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল ইরি-বোরো ধান যাচ্ছে মহাজন,ফড়িয়াদের ঘরে। কষ্টের অর্জিত ফসল ধান থাকছে না কৃষকের গোলায়। তাই তো সলঙ্গায় শুরু হয়েছে জমজমাট ধান বিক্রির হাট। চলনবিল অধ্যুষিত সলঙ্গা হাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় শুধু সলঙ্গা এলাকাই নয়,আশেপাশের উপজেলা হতেও প্রতিদিন ধান বিক্রি করতে আসছে কৃষকেরা। সোমবার,বৃহ:বার সাপ্তাহিক হাট বসলেও বর্তমানে প্রতিদিনই সকাল,সন্ধ্যা হাজার হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে এ হাটে। ধান বিক্রি করতে আসা নুরুল,জসমত,কলিমুদ্দিন,হোসেন আলী,জেসারত সহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান,ফলন ভালো হলেও বিঘাপ্রতি ধান কাটতে ৪ হাজার টাকা কামলা মজুরী সহ সেচ খরচ, হাল,সার, কীটনাশক,নিড়ানী দিয়ে খরচ করে বিক্রি করে কিছুই থাকছে না। সলঙ্গার বিশিষ্ট ধান ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক,আ: সালাম,দেলোয়ার হোসেন খান,শাহীন,আব্দুর রফিক, স্বপন জানান, আমরা সলঙ্গার হাটে ধান ককিনে থাকি। এ ছাড়াও প্রতি বছর ইরিগেশনে পাবনার আতাইকুলা, সাথিয়া,মহাদেবপুর, চাঁচকৈড়,শেরপুর, টাঙ্গাইল কালিহাতি,ধামাইদহ,বনপাড়া, কুষ্টিয়া খাজানগর সহ বিভিন্ন জেলা হতে মহাজনেরা এসে ধান কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যায়। বিভিন্ন বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কাটারিভোগ প্রতিমণ ৯৫০-১০৫০ টাকা,হিরা প্রতিমণ ৭৫০-৭৮০ টাকা,মিনিগেট প্রতিমণ ৯০০-১০৫০ টাকা, তেজ/ছক্কা প্রতিমণ ৭৫০-৮০০ টাকা এবং ব্রি-২৯ প্রতিমণ ৮০০-৮৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
#আপন_ইসলাম