বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ঈদ-উল-ফিতর ২০২১: রমজান শেষে ঈদ পালন, এই উত্‍সব সম্পর্কে আমাদের জানা অত‍্যন্ত জরুরি

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১

মুসলিমরা বিশ্বাস করেন যে তাঁদের ধর্মগ্রন্থ কোরানকে স্বয়ং আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কোরান প্রেরণ করার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঈদের দিনে জানান মুসলিমরা।
২৯-৩০ দিন পর্যন্ত চলে রমজান মাস। এই একমাস সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস বা রোজা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
ইসলাম অনুযায়ী, হজরত মহম্মদ যখন কুরান সৃ্ষ্টি করেন তখন থেকেই রমজান মাস পালন হয়।

ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে নবম মাসটি হল রমজান মাস। ঈদের উত্‍সবে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে মুখরিত হয়ে ওঠে এই মাস। রমজান মাসের শেষে পালিত হয় ঈদ-উল-ফিতর। গোটা রমজান মাস সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস বা রোজা পালন করার পর ঈদ পালন করেন মুসলিমরা। ঈদ-উল-ফিতর থেকে শুরু হয় ইসলামিক ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়াল। ঈদের চাঁদ দেখতে পাওয়ার পরেই ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদের কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। চাঁদ দেখা যাওয়ার পরেই ঈদ পালিত হয়। ঈদ-উল-ফিতর কথাটির অর্থ উপবাস ভঙ্গের উত্‍সব। রমজান মাসের উপবাস ভঙ্গ করা হয় ঈদের দিনে।

২৯-৩০ দিন পর্যন্ত চলে রমজান মাস। এই একমাস সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস বা রোজা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ইসলাম অনুযায়ী, হজরত মহম্মদ যখন কুরান সৃ্ষ্টি করেন তখন থেকেই রমজান মাস পালন হয়। চাঁদ দেখা দেওয়ার পর শেষ হবে রমজান মাস, পালিত হবে ঈদ। প্রচণ্ড গ্রীষ্মে রমজান পালিত হয়। অ্যারাবিক ভাষায় রমজান কথাটি এসেছে রামিদা থেকে, যার অর্থ প্রচণ্ড গরম। রমজান মাস চলে ৭২০ ঘণ্টা ধরে, যা হল চার সপ্তাহ ২ দিন। গুরুতর অসুস্থ, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক সব মুসলিমকেই রমজান মাসে রোজা রাখতে হয়। ঈদের অর্থ ধৈর্য্য, ভক্তি, দয়া ও সহ্য় ক্ষমতার উদযাপন। নতুন জামাকাপড় পরে এই দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটান মুসলিমরা। এছাড়া ঈদের দিনে দরিদ্রদের খাদ্যদ্রব্য দান করারও রীতি রয়েছে।

এই ঈদ উৎসবের কী ভাবে প্রচলন হয়েছে তার ইতিহাস ও তথ্য সঠিক ভাবে আজও জানা যায়নি। নানা ইতিহাস গ্রন্থ ও ঐতিহাসিক সূত্র ও তথ্য থেকে রোজাপালন এবং ঈদ-উল-ফিতর বা ঈদ-উল-আজহা উদযাপনের যে ইতিহাস জানা যায় তাতে ১২০৪ খৃস্টাব্দে বঙ্গদেশ মুসলিম অধিকারে এলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উৎসবের প্রচলন হয়েছে তার বেশ আগে থেকেই। বঙ্গদেশ যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে মুসলিম অধিকারে আসার বহু আগে থেকেই মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া থেকে মুসলিম সুফি, দরবেশ ও সাধকরা ধর্ম-প্রচারের লক্ষ্যে উত্তর ভারত হয়ে পূর্ব-বাংলায় আসেন। অন্যদিকে আরবীয় এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের বণিকেরা চট্টগ্রাম নৌবন্দরের মাধ্যমেও বাংলার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এভাবেই একটা মুসলিম সাংস্কৃতিক তথা ধর্মীয় প্রভাব যে পূর্ব-বাংলায় পড়েছিল। তবে মুঘল যুগে ঈদের দিন যে হইচই বা আনন্দ হতো তা মুঘল ও বনেদি পরিবারের উচ্চপদস্থ এবং ধনাঢ্য মুসলমানদের মধ্যে কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধ ছিল। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কিছু দূরত্ব ।

 

 

#আপন_ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।