শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা – মাওলানা:শামীম আহমেদ 

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১ মে, ২০২১

পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা অপরিসীম। শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কুরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আজ অবধি পৃথিবীতে যা কিছু গড়ে উঠেছে তা সবই শ্রমের ফল এবং শ্রমিকের কৃতিত্ব। ইসলাম শ্রমিক এবং শ্রমকে যথার্থ মূল্যায়ন করেছে। একমাত্র ইসলাম ধর্মই শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে মূলনীতি ও বিধান প্রবর্তন করেছে।

এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- ‘অতপর নামাজ সমাপ্ত হলে জীবিকার্জনের জন্য তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’
(সূরা আল জুমআহ, আয়াত নং : ১০)। ’

আল্লাহ এরশাদ করেন- ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’
(সূরা বালাদ, আয়াত নং : ৪)। 

কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে- ‘সর্বোত্তম শ্রমিক সে, যে দৈহিক দিক দিয়ে শক্ত-সমর্থ্য ও আমানতদার।’
(সূরা কাসাস : ২৬)।

পৃথিবীর সর্ব প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হজরত আদমই (আ.) থেকে শুরু করে বহু নবী-রাসূল এমনকি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ  নবি হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহও (সা.) শ্রমজীবী ছিলেন। নবী-রাসূল এবং সাহাবায়ে কেরামগণ নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা উপার্জন করেছেন। আমাদের প্রথম নবি হজরত আদম (আ.) ছিলেন দুনিয়ার প্রথম চাষি, হজরত শুয়াইব (আ.) ও হজরত হারুন (আ.) এর পেশা ছিল পশু পালন ও দুধ বিক্রি। হজরত মুসা (আ.) ছিলেন একজন রাখাল। ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) এবং মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সৎ ব্যবসায়ী।

এছাড়াও হজরত লুত ও হজরত শিস (আ.) ছিলেন কৃষক, হজরত ইদরিস (আ.) ছিলেন দর্জি, হজরত নুহ (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি, হজরত ইবরাহিম (আ.), হজরত ইয়াকুব (আ.), হজরত হুদ (আ.) সালেহ (আ.) ছিলেন ব্যবসায়ী।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ দুনিয়াতে এমন কোন নবী পাঠাননি যিনি ছাগল ও ভেড়া চরাননি। তখন সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূল (সা.) আপনিও? রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ! আমিও মজুরীর বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল ও ভেড়া চরাতাম।

(বুখারি, হাদিস নং: ১৩৪০)। 

হজরত আবু বকর (রা.)  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন- ‘অধীনস্থদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’
(ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা নং :.২৬৯৭)। 

শ্রমিকের অধিকার নবীজী (স.) আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে দিয়ে গেছেন। হজরত রাসূল (সা.) শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার প্রতি গুরত্ব দিয়ে মালিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন-‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক পরিশোধ করে দাও’।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৮১৭)।

তিনি পরিশোধ করেছেন, তার সাহাবিরা পরিশোধ করেছেন, তার খলিফারা পরিশোধ করেছেন। শ্রমিকের এই অধিকার- মজুরির অধিকার, শুধু মজুরি না, উৎপাদনের লভ্যাংশের অধিকার তিনি আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে দিয়ে গেছেন।

 

#আপন_ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।