শুক্রবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চলনবিলে তরমুজ-বাঙ্গীতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

গাছের সবুজ পাতার আড়ালে লকিয়ে থাকা বাঙ্গি, তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া যেন এক অপরুপ দৃশ্য ধারন করেছে। মাঠের ফসল রক্ষায় পরিচর্যার ব্যস্ত কৃষকরা। ইতিমধ্যে কৃষকরা জমি থেকে উপযুক্ত সাথী ফসল তুলতে এবং বাজারজাতকরন শুরু করেছেন। তাড়াশ নাটোরের গুরুদাসপুর ধারাবারিষা, চরকাদহ, শিধুলী, পাঁচশিশা, নাড়িবাড়ি, সোনাবাজু, হাজিরহাট, তালবাড়িয়া ও নয়াবাজার বিশ^রোড সংলগ্ন সবুজ বিস্তীর্ণ মাঠের দিকে তাকালেই মিষ্টি কুমড়া, বাঙ্গি ও তরমুজের দেখা মিলে।

শষ্য ভান্ডার খ্যাত এ অঞ্চলে গত কয়েক বছরের তুলনায় রসুনের সাথী ফসলের রেকর্ড পরিমাণ আবাদ হয়েছে। প্রতিদিন অন্তত ৫০টি গাড়ি বাঙ্গি, তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া লোড করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। গতবছর বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করলেও এবছর ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এই সাথী ফসল। এখানকার বাঙ্গি ও তরমুজ ক্রয় করতে বাইরে থেকে আসছেন অনেক বেপারী।উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবছর গুরুদাসপুরে বাঙ্গি ৭২০ হেক্টর, তরমুজ ৫৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। খরায় ফসলের ফলন ভাল হওয়ায় বাঙ্গিতে ২২ হাজার মেট্রিক টন, তরমুজ ২৩ হাজার মেট্রিক টন ও মিষ্টি কুমড়ায় ১৭৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন ধরা হয়েছে।

সোনাবাজু গ্রামের কৃষক মোতাহার ও বজলুর রশিদ জানান, রসুনের গাছ বড় হওয়ার পর গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাঙ্গি, তরমুজ  বীজ লাগাতে হয়। এ ফসলের জন্য বাড়তি সার ও কীটনাশক লাগে না। এবছর বাঙ্গি ও তরমুজের ফলন ভাল হয়েছে। বাঙ্গী তুলতে শ্রমিকদের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হচ্ছে। তবে রমজান মাসে বাজারে এসব ফলের চাহিদা থাকায় দামও ভাল পাচ্ছি। তাতে রসুনের চাষে লোকসান হলেও এসব সাথী ফসলে আমরা লাভবান হচ্ছি।বেপারিরা জানান, দেশজুড়ে এফসলের সুনাম থাকায় আমরা প্রতিবছরই এখানে আসি। কিন্তুু এবছর করোনা, লকডাউন ও গাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ায় মাল কিনে পরতা হচ্ছেনা। তবে রমজানে কারণে কিছুটা দাম পাচ্ছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেজবাবুল  জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তাড়াশ ও গুরুদাসপুরে এবছর তরমুজ ও বঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় আগামী বছরে কৃষকরা সাথী সফল আবাদে আগ্রহী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।