আমদানি নির্ভর বিভিন্ন ফলমূল বাজারে পর্যাপ্ত থাকলেও দেশী বিভিন্ন ফলমূলের দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে বিপাকে পড়েছে বর্তমানে রোজাদার ভোক্তারা। পাবনার ও সাঁথিয়া ফল ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে সব ধরনের ফলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে দিয়েছে। হঠাৎ করে এসব ফলমূলের মূল্য বৃদ্ধিতে খুচরা পর্যায়ের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে বাক-বিপত্তির ঘটনাও ঘটছে।
অভিযোগ রয়েছে, রমজান মাসের ফলের বাজার চাঙ্গা রাখতে পাবনার ও সাঁথিয়া ফলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ পাইকারী মহাজনরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে দামের তাপ বাড়িয়েছেন। তবে মহাজনরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হচ্ছে। দেশের বড় মোকাম বন্দরেই অস্বাভাবিক হারে ফল বেচা-কেনা হচ্ছে। করোনা কালে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পযন্ত এ অবস্থা চলবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এদিকে দেশী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, নোনা ফলসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলমূলের বাজার ব্যপক চড়া মূলে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পর্যাপ্ত ফলে সরবরাহ থাকলেও ও চাহিদা বেশি থাকায় সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।ফলে খুচরা বাজারে আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, কেনু প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে অস্বাভাবিক হারে ফল মূলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতাদের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে তরমুজ ৩০ টাকা কেজি হলেও হঠাৎ করে সেই তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ভোক্তারা দাবী করেন, বর্তমান বাজার দেখে মনে হয় না দেশে সরকার ভোক্তা অধিকার নিয়ে একটি দপ্তর রেখেছেন। বাজার মনিটরিং করার জন্য লোক আছে? নাকি তারা বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।তারা আরো দাবী করেন বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের অতিসত্বর বাজারের দিকে নজরদারী বাড়ানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, কোন কৃত্রিম সংকট নয়, আমদানি কম থাকায় বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে কেবল বাজারে ফলের মূল্য কমবে বলে জানান তিনি।
#CBALO/আপন ইসলাম