জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তারের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,যেখানে তুলে ধরা হয় জেলী আক্তার কর্তৃক প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসীর উপর নানা হয়রানির চিত্র। এর একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতেও আসে, যার মাধ্যমে জানা যায়,’ ভাইস চেয়ারম্যান জেলী আকতার কিছু হলেই আসবাবপত্র ভাংচুর করে পুলিশ এনে নিজ বংশের লোকজন সহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করে। ইতিমধ্যে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীর ক্ষতি সাধন করেছে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলী আক্তার নানান সময়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, প্রতারণা, ভয়ভীতি দেখানো ও চিৎকার চেঁচামেচি করে মানুষকে জিম্মি করে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে নেন। তিনি ৫ম শ্রেণি পাশ হলেও তার হলফনামায় ৮ম শ্রেণি উল্লেখ করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাল আয়কর সনদ উপস্থাপন করে নির্বাচনে অংশ নেন। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এলাকার অনেককে ‘জমি আছে বাড়ি নেই’ খাত থেকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের নিকট থেকে টাকা নেন। তিনি শিশুকার্ড ও বয়স্কভাতা কার্ড পাইয়ে দে য়ার নামেও টাকা আদায় করেন। তার গ্রামের নিরীহ মানুষকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তিনি তার নির্বাচনী খরচ মেটাতে জমি বিক্রি করলেও খরিদদারকে আজও সে জমির দখল বুঝিয়ে দেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেলী আকতারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,’ আমি জনগণের সেবা করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম অথচ আমার শ্বশুড়বাড়ীর আশেপাশের লোকজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে; যে সকল অভিযোগ সবই মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। পরবর্তীতে আমি যেনো আর নির্বাচন করতে না পারি সেই জন্যই এই অভিযোগ’।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনগণকে হয়রানির অভিযোগ এমন একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে সংগ্রহ করেছি আমি। অফিসের ডাক ফাইলে দেখতে হবে কেউ দিয়েছে কি না।
#CBALO/আপন ইসলাম