অভয়নগরে ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল হাকিমের নামে দূর্ণীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ওয়ার্ডের মোঃ তরিকুল ইসলাম, রজিবুল ও মিজানুর। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন,“তারা সকলে দিনমজুর ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের হাকীম মেম্বার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের নিকট থেকে নগদ টাকা গ্রহন করে অদ্যবধি ঘর বা টাকা ফেরত কোনটাই দেয়নি। তারা ঘরের বিষয় জানতে চাইলে বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ পরিবেশনে তারা তথ্য প্রদান করে। সেই থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাকিম মেম্বর ও তার ছেলে পারভেজের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে। তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। ”লিখিত অভিযোগ পত্রে তারা আরও উল্লেখ করেছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই পূর্বক সমূদয় টাকা ফেরত পাওয়া ও হাকিম মেম্বর যাতে কোন ক্ষয় ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে। উল্লেখিত অভিযোগ পত্রের সমর্থনে সংযুক্তি হিসাবে অভিযোগকারীদের তালিকাসহ স্বাক্ষর রয়েছে। তারা হলেনঃ ১। আব্দুর রাজ্জাক মৃধার পুত্র মুরাদ মৃধা দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, ২। মৃত আমীর আলী সরদারের কন্যা দিয়েছেন ১১ হাজার টাকা, ৩। হারুন মোল্যার স্ত্রী ছাকিলা বেগম দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, ৪। আঃ মালেক কাজীর পুত্র মিজানুর কাজী দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, ৫। মোনতাজ আলী মীরের পুত্র রজিবুল ইসলাম মীর দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, ৬। আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের স্ত্রী কহিনুর বেগম দিয়েছেন ১৮ হাজার টাকা, ৭। মৃত গহর বিশ্বাসের পুত্র জুলহাস বিশ্বাস দিয়েছেন ১৬ হাজার টাকা, ৮। মৃত আকবর মোল্যার পুত্র আব্দুর রহমান মোল্যা দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, ৯। মৃত তকিম শেখের পুত্র তরিকুল ইসলাম দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাকিম মেম্বর সাংবাদিককে বলেন, আমার বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আমিনুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম