সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বেনাপোল  সীমান্তে মোজাম সিন্ডি কেটের ফেন্সিডিলের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

কোন রকম নিয়ন্ত্রন হচ্ছে না ফেনসিডিল আসা। ভারত থেকে প্রতিদিন দেশের অভ্যান্তরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বোতল ফেনিসিডিল পাচার হয়ে আসছে। এর এই সিন্ডিকেটের মুল নায়ক দৌলতপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ এর ছেলে মোজাম আলী। সীমান্তের কিছু অসৎ নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় এসব ফেনসিডিল দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে বলে মোজাম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে আগের চেয়ে কম আসছে বলে তারা দাবি করে।

দৌলতপুর গ্রামের মোজাম আলী ভারত বাংলাদেশ এর দৌলতপুর গ্রামের ঘাট মালিক এবং মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে অবাধে শাড়ি থ্রি পিছ এবং ফেন্সিডিলের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। আর ঈদ উপলক্ষেও বেশী মুনাফা লাভের আশায় অতি উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে আনছে ফেনিসিডিল। আর এই ফেনসিডিল এর ১০০ টির চালানে ৫ হাজার টাকা অসৎ নিরাপত্তার দায়িত্ব রত কর্মচারীদের দিয়ে পাচার করে বলে এরকম অভিযোগ উঠেছে। আবার একই পরিমান টাকা দেয় যে সব লোক এই ফেনসিডিল বহন করে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্রতিক কালে ফেন্সিসিডিল এর চালান বেশী ভারত থেকে আসছে যার প্রমান বেনাপোল পোর্ট থানা। গত এক বছরে এই থানার সদস্যরা যত
ফেন্সিসিডিল গাজা, ইয়াবা জব্দ করেছে এর আগে এত উদ্ধার হতে দেখা যায়নি।

দৌলতপুর গ্রামের আরিফুল বলেন, এ পথে মোজাম সিন্ডিকেটে ফেনসিডিল সহ অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে পাচার করে আনে। এরা প্রতি ১০০ টি ফেনসিডিলে ৫ হাজার করে টাকা দেয় যারা সীমান্তে দায়িত্বে থাকে। তবে এর মধ্যে সকলে না। কিছু নিরাপত্তা সদস্য আছে যারা গোপনে এই টাকা খেয়ে মালামাল ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে যে সকল বহনকারী তারাও প্রতি ১০০ পিচ ফেনসিডিল ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। আপনি ফেনসিডিল এর ব্যবসা করেন কিনা জানতে চাইলে অস্বীকার করে। সে বলে আমার নামে এই গ্রামে আরো লোক আছে তারাই করে।

সরেজমিনে দৌলতপুর পুটখালী সড়কের ব্রীজ এর পাশে মোজাম এর সাথে আলাপ কালে সে জানায় আমরা কাজ করি। তবে এখন কাজ হচ্ছে না। আগের মত কাজ করতে পারছি না। এখন সামান্য কাজ হয় তা দিয়ে চলা মুশকিল। মাত্র ১০% কাজ হয় বলে সে দাবি করে। ফেনসিডিল প্রতি কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে সে বলে আগের চেয়ে এখন খরচ বেশী। মোজাম আরো বলে তার সাথে কাজ করত আহাদ নামে একজন বেরিয়ে যেয়ে আর একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে তাদের ফেনসিডিলের চালান ক্যাম্পে ধরা পড়ছে  বলে দাবি করে।

ফেন্সিসিডিল এর চালান বর্তমানে ভারত থেকে বেশী প্রবেশ করছে বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস আই ওবীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা চেষ্টায় আছি। মাদক কোন প্রকার ছাড় নেই।

পুটখালী কোম্পানী সদর ইনচার্জ সুবেদার লাভলুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা নিরাপত্তা  সদস্যদের কথা বলেছে এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। এছাড়া এই সীমান্ত দিয়ে এখন হাহাকার চলছে। কোন প্রকার মাদক বা অন্যান্য পণ্য প্রবেশের  সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি চুরি করে দুই একটা আনে তবে তা ভিন্ন কথা। আমরা সব সময় তদারকি করে থাকি। আর সব সময় কোথায় কি হচ্ছে তাও তদারকি করা হয়। 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।