সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ভাড়াটিয়া মহিলা কর্তৃক নিরীহ ব্যাক্তিদের আসামী করে হয়রানী মুলক সাজানো ধর্ষন মামলার অভিযোগ উঠেছে।মামলাটি বর্তমানে পিবিআই সিরাজগঞ্জ তদন্তাধীন রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের লিটন গংদের আসামী করে জোসনা নামের এক ভাড়াটিয়া মহিলাকে দিয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টে গত ১ এপ্রিল সাজানো,হয়রানী মুলক ধর্ষন মামলা দায়ের করেন একই গ্রামের প্রতিপক্ষরা।মামলায় জোসনার ঠিকানা চড়িয়া শিকার গ্রাম উল্লেখ করলেও মুলত তার বাড়ি শাহজাদপুরের গাড়াদহ গ্রামে। গার্মেন্টস্ কর্মী হিসেবে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ধর্ষনের কথা উল্লেখ করলেও প্রকৃত পক্ষে ওই নারী গার্মেন্টস্ এ কোন চাকুরী করেন না বলে তার মা বেদনা বেগম, ভাই বাবু, আল আমিন,ইউনুছ,ভাবী শিখা, রাবেয়া জানায়।তারা আরও জানায় জোসনা খাতুনের প্রথমে এলাকার জব্বার নামের এক লোকের সাথে বিয়ে হলে তাকে ডিভোর্স করে চড়িয়া শিকার দক্ষিন পাড়ার আনোয়ারের সাথে প্রেম প্রণয়ে বিয়ে হয়।বিয়ের কিছুদিন পর আনোয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে জোসনা চড়িয়া থেকে বিতাড়িত হয়। এরপর সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে হোটেল ও চায়ের দোকানে কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করে। পরিবারের লোকেরা আরও জানায়, হয়তো রোডের কিছু কুচক্রী মহল তাকে অর্থের লোভ বা ভয়ভীতি দেখিয়ে এ মামলা করাতে পারে।
তাকে ধর্ষনেরর কোন ঘটনা আমরা জানি না। হাটিকুমরুল ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর কাউছার হোসেন জানান,আমার ভোটার এলাকা চড়িয়া শিকার মৃত হাছেনের মেয়ে জোসনা নামে কোন ভোটারকে আমি চিনি না। হয়তবা ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছে। এলাকাবাসী সুত্রে আরও জানা যায়, মামলার বিবাদীদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে নূরনবী গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।এরই জের ধরে লিটন গংদের ফাঁসাতে এলাকার নুরনবী,সেরাজুল,ফজলু ও মোখলেছ গংয়েরা একের পর এক ভাড়াটিয়া মহিলা দ্বারা হয়রানী মুলক,সাজানো ধর্ষন সহ অন্যান্য মামলা দায়ের করে আসছে।শুধু তাই নয়, গত ২১ মার্চ লিটন গংদের নামে বগুড়ার মহাস্থান গড় এলাকার নাছিমা নামের এক ভ্রষ্টা মহিলাকে দিয়েও সিরাজগঞ্জ কোর্ট,পিটিশন ১৪৩/২১ সাজানো ধর্ষন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক তথ্র প্রমানাদি ননা পাওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন। প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুর্বের মামলার মানীত স্বাক্ষীদের দিয়ে আবারও গত ১ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ কোর্ট,নারী ও শিশু পিটিশন নং ১৫৫/২১ জোসনা খাতুন নামের এক ভ্রষ্টা মহিলাকে দিয়ে মামলা দায়ের করায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী জোসনা খাতুনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার ওই সংঘবদ্ধ চক্রের দ্বারা একের পর এক মিথ্যা,সাজানো,হয়রানী মুলক মামলা করায় এলাকার নিরীহ ও সাধারন লোকজন তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। এদের কবল থেকে রক্ষার জন্য এলাকাবাসী আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
#CBALO/আপন ইসলাম