চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় উপজেলার মাধাইনগর গ্রামে লিটন ও রাব্বি নামে দুই যুবক আমার দই ও সাইফুল ফুড নামে দুটি ফুড কোম্পানি নামে লেভেল লাগিয়ে প্রতিদিন হাজারো লিটার ঘোল তেরি করে বাজারজাত করছে । বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া লেবেল লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সনাতন পদ্ধতিতে ঘোল তৈরি করে বাজারজাত করায় হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামে লিটন ও রাব্বি নামে দুই যুবক নাম সর্ব স্ব‘আমার দই ও সাইফুল ফুড’ নামে দুটি ফুড কোম্পানি নাম দিয়ে লেবেল লাগিয়ে প্রতিদিন হাজারো লিটার ঘোল তেরি কওে স্থানীয় কয়েক বাজারে হোটেল ও রেষ্টরেন্টু বাজারজাত করছে। রমজান মাসে ঘোলের চাহিদা বেশি জন স্বাস্থ্য’র কথা বিবেচনা না করে ভাবে সর্ম্পন সনাতন পদ্ধতিতে ঘোল তৈরী করে তারা বানিজ্য করে আসছে।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, লিটনের বাড়িতে তিন কড়াইতে ঘোল তৈরির জন্য দুধ জাল দিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই একটি ঘরে গাদাগাদি বসে হাতের স্পর্শে বোতলে ঘোল ভরছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ কাজে তারা হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করছেন না। রাব্বির বাড়িতে দেখা গেছে ৪টি বড় পাত্রে ঘোল রাখা হয়েছে। ঘোলের মধ্যে ময়লা পড়ে আছে। ছসমেনের সেই ঘোল ময়লাযুক্ত কাপর দিয়ে ছেঁকে বোতলে ভরছেন তার মা ও বোন।
এদিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আকতার জানান, যে কোনো খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট ও বোতলজাত করতে হলে বিএসটিআই অনুমোদন বাধ্যতামূলক। নয়তো এমন অবৈধ পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
লিটন ও রাব্বি’র দাবি করেন, তারা স্বাস্থ্যকর পরিবেশেই ঘোল তৈরি করে তা বিক্রি করছেন। শুধু বিএসটিআই অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাজপত্র তাদের নেই । সোমবার বিকেলে উপজেলার তাড়াশ সদর বাজার, বিনসাড়া হাট, বস্তুল বাজার, মাধাইনগর বাজার ও কাটাগাড়ি বাজারের কয়েকটি খাবার হোটেল ও ফলের দোকানে লিটন ও রাব্বির তৈরি করা ঘোল বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদের ঘোলের বোতলে বিএসটিআই অনুমোদনের লেবেল লাগানো রয়েছে।
উজ্জল ও কাজল নামে দুইজন ক্রেতা বলেন, সব কোম্পানির ঘোল দেখতে এক রঙের। বোতল গুলো একই রকমের। স্বাদে কিঞ্চিত কম-বেশি হলেও সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির সময় তা খেতে বিবেচনায় থাকেনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়া জানান, এ ধরনের ঘোল খেয়ে বিশেষ করে ইফতারিতে খেলে ফুড পয়জনিং থেকে ষ্টং ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। যার দরুন ডায়রিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তির মুত্যুর ঝুকি রয়েছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী মাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম জানান বিষয়টির খোজ নিয়ে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
#CBALO/আপন ইসলাম