একটি দোকান ঘর বিক্রি করার পরও দোকান ছেড়ে দিতে টালবাহানা করায় এবং ইউনিয়ন পরিষদে বসে আপোষের চেষ্টা করায় একদল দুস্কৃতিকারী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার সম্পদের ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২ বছর পূর্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট বাজারের একটি দোকানঘর বিক্রি করে সজিব চন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি কৌশলে মাসিক ৮শ টাকা ভাড়ায় ওই দোকান ভাড়া নেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও দোকানের ভাড়া প্রদানে টালবাহানা করায় দোকান মালিক তার দোকানের দখল বুঝে পেতে শহরের একটি দুস্কৃতিকারী চক্রের সঙ্গে হাত মেলায়। এ অবস্থায় দোকান মালিক সাটারে তালা দিলে মঙ্গলবার সকালে দোকানের মালিক সজিব তালা ভেঙ্গে তার দোকানের সরন্জাম ও ক্যাচিগেট খুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এতে দোকান মালিক নূর হোসেন শহরের ওই গ্রুপকে খবর দিলে দুপুরে ৭/৮জনের একদল যুবক সদলবলে ঢোলারহাট বাজারে আসে এবং ক্যাচিগেট খুলে নেওয়ার চেষ্টা করায় বিক্রেতা সজিবকে মারধোর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং উভয়পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শালিসের আয়োজন করে।
এদিকে সবাই যখন শালিসে বসার জন্য অপেক্ষা করছেন ওই সময় ১৫/২০ জনের একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়। তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি করে ইউপি কার্যালয়ের ২০/২৫টি প্লাষ্টিকের চেয়ার ভাংচুর করে এবং একটি কম্পিউটার ভাংচুর করে। শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল সহ অন্যান্যরা তার অফিস কক্ষে ভেতর থেকে ছিটকিনি টেনে দিয়ে ভেতরে থাকায় সন্ত্রাসীরা ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে অফিসের দরজা জানালা কোপায় এবং দোকান বিক্রেতা সজিব ও সমঝোতার চেষ্টা করায় বিধান নামে অপর একজনকে খোজাখুজি করতে থাকে। পরে দুস্কৃতিকারীরা শহরে ফেরার পথে ঢোলারহাট বাজারে পুনরায় দোকানে হামলা চালায় এবং সিলিং ফেন খুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল জানান, ঢোলারহাট বাজারের একটি দোকান কেনাবেচা নিয়ে নূর হোসেন ও সজিব চন্দ্র বর্মনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হলে সেটি আপোষ নিস্পত্তি করার জন্য আমরা পরিষদে বসি। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই একদল দুস্কৃতিকারী নূর ইসলামের পক্ষ নিয়ে আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও ক্ষতি সাধন করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সরজমিনে ঘটনা পরিদর্শন করেন।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, দোকান ভাড়া দেওয়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপুরে ঢোলারহাট বাজারে ২ পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উক্ত বিষয় নিয়ে পরিষদে শালিসে বসলে একপক্ষের ভাড়াটে কিছু লোক ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৫ তারিখ ২১/৪/২০২১)।
#CBALO/আপন ইসলাম