রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় লকডাউনেও কিস্তি আদায় ; এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষায় মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মানুষ যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তখন এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায়ে আর্থিক সঙ্কটে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করলেও ব্রাক, টিএমএসএস, আশা,প্রশিকা,আরবানসহ বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীরা বাড়ীতে গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন এবং কিস্তির টাকা দিতে না পারলে মোবাইল ফোন দিয়ে চাপ দিচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো ।

এ বিষয়ে উপজেলার একাধিক কর্মহীন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে এই মহামারী করোনার লকডাউনে তাদের কোন ব্যবসা-বাণিজ্য নাই কিন্তু প্রতিনিয়ত কিস্তির টাকার জন্য বাড়ীতে আসে এনজিও কর্মীরা। করোনা মহামারী শুরুর পর এমনিতেই উপার্জন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তার ওপর এনজিও’র কিস্তি এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কখনও মোবাইল ফোনে, কখনও বাড়িতে গিয়ে কিস্তি পরিশোধের জন্য গ্রাহককে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকী দিচ্ছেন এনজিও গুলোর মাঠকর্মীরা। সুদের হার বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে ঋণ দেওয়া হবেনা এই মর্মে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন এনজিও গুলো। ফলে নিরুপায় হয়েই ধার দেনা করে অতিকষ্টে এনজিও’র কিস্তি দিতে হচ্ছে ঋণ গ্রহীদের। এরপরও কিছু সংখ্যক এনজিও সদস্য সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে না পারলেও দু-একদিন পরই কিস্তি আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ইজিবাইক চালক, ভ্যান চালক, ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালকরা ঠিকমত যাত্রী পাচ্ছেন না।লকডাউনে বাজারেও জনসমাগম কম। ছোট খাট দোকানীদের বিক্রয় সীমিত ভাবে চলছে। অনেকে দিন ধরে দিনমজুরদের ঠিক মত কাজ হচ্ছে না।কিন্তু এ অঞ্চলে করোনা আতংকিত হয়ে মানুষের পিছু ছাড়ছে না বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীরা। কর্মীদের নেই কোন করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এনজিও’র কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন করোনার কারণে কাজ কাম নাই বল্লেই চলে। এদিকে এখন কিস্তির চাপ আবার সংসার চালাতে হিমসীম খেতে হচ্ছে তারপরও কিস্তির চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কি করবো এ অবস্থায় ভেবে ভেবে রোগাগ্রস্থ হয়ে পড়তেছি। তাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মানুষ যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তখন এনজিও ঋণের কিস্তি আদায়ের চাপ বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। সরকারি ভাবে স্বল্প পরিসরে কিস্তি নেওয়ার অনুমতি আছে কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে কারো কাছ থেকে কিস্তি আদায় করলে সে সকল এনজিও কর্মী সহ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।