সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আল আমিন সরকারের বিভিন্ন দূর্ণীতি, অনিয়ম , স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা বিষয় নিয়ে একই পরিষদের ৪ জন সদস্য ( মেম্বর ) আলাদা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদের মধ্যে সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডের তিন জন মহিলা সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আলাদা লিখিত অভিযোগ করেছেন । এরা হলেন – মোছাঃ মাজেদা খাতুন, মোছাঃ বিউটি খাতুন ও মোছাঃ কুলছুম খাতুন। এছাড়া সাধারণ ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন । গত ৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবরে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী এবং ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে মহিলা সদস্য তিনজন লিখিত অভিযোগ করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ পএগুলোয়, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে ভিজিডি, প্রতিবন্ধী , বয়স্ক ভাতা দিতে অনিয়ম , টাকা নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া এলজিএসপি প্রকল্প বাস্তবায়নে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তসহ দূর্ণীতি , ট্যাক্সের টাকা আত্ন সাতের অভিযোগ করা হয়েছে । সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য মোছাঃ বিউটি খাতুন লিখিত অভিযোগে এলাকার গরীব দুজনকে ঘর দেওয়ার কথা বলে তার মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এদেরকে ঘর দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এছাড়া পরিষদ থেকে তার পাওনা মাসিক সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়নি। সংরক্ষিত আরেক ওয়ার্ডের সদস্য মোছাঃ মাজেদা খাতুন একই ধরণের অভিযোগ ছাড়াও আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল খেলার জন্য তার কাছ থেকে হাওলাত বাবদ নেওয়া ১০ হাজার টাকা দুবছরে ফেরত না দেওয়ার বিষয় জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার জানান, এ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলো পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। অভিযোগকারীরা নিজেরাই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম